হার্দিক পাণ্ড্য। ফাইল ছবি
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনি বল করবেন কিনা, সেটাই এখন ভারতীয় ক্রিকেটে সবথেকে চর্চিত প্রশ্ন। সেই প্রশ্নের নিশ্চিত উত্তর এখনও অজানা। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে হার্দিক পাণ্ড্য নিজের গল্প শোনালেন। কী ভাবে গুজরাতের এক ছোট শহর থেকে ক্রিকেট খেলে উঠে এসেছেন, সেই গল্প সমর্থকদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন তিনি।
ভারতীয় ক্রিকেটে তিন ফরম্যাটেই খেলেছেন তিনি। চোট পাওয়ার আগে তিনি সীমিত ওভারের দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন। এহেন হার্দিকের উঠে আসাটা ছিল অনেক লড়াইয়ের। সেই লড়াইয়ে বিরাট সাহায্য করেছিলেন তাঁর বাবা, যাঁকে বছরের শুরুতেই হারিয়েছেন হার্দিক।
এক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ভিডিয়োয় হার্দিক বলেছেন, “আমার দক্ষতায় বাবার পূর্ণ বিশ্বাস ছিল। তাই জন্যে বাবা আমাকে কোনও দিন ক্রিকেট খেলা থেকে আটকাননি। তিনি এমন কাজ করেছেন যেটা হয়তো কোনও বাবা করবেন না। সুরতে সব কিছু বন্ধ করে দিয়ে উনি বডোদরায় চলে এলেন। কারণ ওখানে তরুণ ক্রিকেটারদের সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা আরও বেশি ছিল।”
হার্দিক আরও বলেছেন, “বাবা আমার জন্যে একটা বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাই ওর আস্থার দাম আমাকে মেটাতেই হত। নিজের প্রতিভা গোটা বিশ্বকে দেখাতে সমস্ত পাড়ার প্রতিযোগিতায় খেলেছি। এই ধরনের প্রতিযোগিতাগুলোয় যারা শেষ পর্যন্ত টিকে থাকত তাদের বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হত। প্রতি বার আমিই জেতার চেষ্টা করতাম। এই ছোটখাটো জয়ই হয়তো ভারতের হয়ে আমাকে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে। যে দিন ভারতের হয়ে আমার অভিষেক হল, সে দিন ভেবেছিলাম বাবার ঋণ একটু হলেও শোধ করেছি।”