(বাঁ দিকে) ইমাদ ওয়াসিম। মহম্মদ আমির (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
শুক্রবার ইমাদ ওয়াসিম। শনিবার মহম্মদ আমির। দু’দিনের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটার। দু’জনেই সমাজমাধ্যমে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। আমির অতীতে ম্যাচ গড়াপেটা কাণ্ডে জেল খেটেছেন। দু’জনেই আগে অবসর নিয়ে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছিলেন। জাতীয় দলে সাফল্য পাচ্ছিলেন না এবং বাদ পড়েছিলেন বলেই দু’জনে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন ওয়াসিম। তবে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) ভাল ফর্মে ছিলেন। ইসলামাবাদ ইউনাইটেডকে ট্রফি জেতান। প্লে-অফের তিনটি ম্যাচেই সেরা ক্রিকেটার হয়েছিলেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে পাক বোর্ডের কর্তারা ওয়াসিমের সঙ্গে আলোচনা করে তড়িঘড়ি অবসর ভাঙিয়ে দলে ফেরান। তবে বিশ্বকাপে সুপার এইটে উঠতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান।
এ দিন ওয়াসিম লিখেছেন, “অনেক ভাবনাচিন্তার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি। বিশ্ব পর্যায়ে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করা আমার কাছে সবচেয়ে বড় সম্মান। সবুজ জার্সি পরে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত অবিস্মরণীয়। একটা অধ্যায় শেষ হল। তবে ঘরোয়া এবং ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাব।”
৩২ বছরের আমিরও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন নিয়ে অবসর ভেঙে ফিরেছিলেন। ২০২০-র ডিসেম্বরে প্রথম বার অবসর নেওয়ার পর বিশ্বের বিভিন্ন লিগে খেলেছেন। তিনি অবসর নিয়ে লিখেছেন, “যথেষ্ট ভাবনাচিন্তা করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর কঠিন সিদ্ধান্ত নিলাম। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া কখনও সহজ নয়। তবে নিতেই হবে। পরবর্তী প্রজন্মকে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার এটাই সঠিক সময়।”
২০১০ সালে ম্যাচ গড়াপেটা কাণ্ডে অভিযুক্ত হয়েছিলেন আমির। পাঁচ বছর তাঁকে নির্বাসিত করেছিল আইসিসি। মাঝে জেলও খেটেছেন। নির্বাসন শেষ হতে জাতীয় দলে ফেরেন এবং ২০১৭ সালে পাকিস্তানকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতাতে সাহায্য করেন। দেশের হয়ে ৩৬টি টেস্ট, ৬১টি এক দিনের ম্যাচ এবং ৬২টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। ২০২০ সালে পাক বোর্ড কর্তাদের বিরুদ্ধে মানসিক হেনস্থার অভিযোগ তুলে অবসর নিয়েছিলেন।