রেকর্ড ৪৩৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলিয়ে এলিট প্যানেল থেকে অবসর নিলেন আম্পায়ার। ছবি: টুইটার।
আইসিসির আম্পায়ারদের এলিট প্যানেল থেকে অবসর নিলেন পাকিস্তানের আলিম দার। ২০০২ সালে তিনি প্রথম এলিট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন। সেই হিসাবে দু’দশক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তিনি।
২০২৩-২০২৪ মরসুম থেকে আর এলিট প্যানেলে দেখা যাবে না দারকে। আন্তর্জাতিক আম্পায়ারিং থেকে অবসর নিলেন তিনি। ৫৪ বছরের দারের জায়গায় পাকিস্তান থেকে আইসিসির এলিট প্যানেলে এসেছেন এহসান রাজা। প্রায় দু’দশকে মোট ৪৩৫টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ পরিচালনা করেছেন দার। তার মধ্যে রয়েছে ১৪৪টি টেস্ট ম্যাচ, ২২২টি এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ এবং ৬৯টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এত সংখ্যক আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনার নজির আর কারও নেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ম্যাচ পরিচালনা করেছেন দার। নিরপেক্ষতা এবং সহজ ব্যবহারের জন্য সব দেশের ক্রিকেটারদের কাছেই জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। ২০০৯ এবং ২০১১ সালে আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ারের পুরস্কার পেয়েছিলেন।
অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দার বলেছেন, ‘‘একটা দীর্ঘ সফর শেষ হল। এই সফরটা আমার কাছে দারুণ উপভোগ্য ছিল। সারা বিশ্বে ক্রিকেট ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ এবং সম্মান পেয়েছি। পেশাদার আম্পায়ার হিসাবে যখন কাজ শুরু করেছিলাম, সে সময় ভাবতেও পারিনি এত কিছু অর্জন করতে পারব।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আরও কিছু দিন আন্তর্জাতিক আম্পায়ার হিসাবে কাজ করতে চাই। এলিট প্যানেল থেকে সরে দাঁড়ানোর এটাই সঠিক সময় বলে মনে হয়েছে। ১৯ বছরের বেশি সময় পর অন্যদের সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই সরে যাচ্ছি।’’ এলিট প্যানেলে না থাকলেও পাকিস্তানের মাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আগামী দিনেও আম্পায়ার হিসাবে দেখা যাবে দারকে।
দারের অবসর প্রসঙ্গে আইসিসির সিইও জিওফ অ্যালার্ডাইস বলেছেন, ‘‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এবং আইসিসিতে দারের অবদান অনস্বীকার্য। এত দীর্ঘ সময় ধরে এলিট প্যানেলে জায়গা ধরে রাখাই তাঁর দক্ষতার পরিচয়। আম্পায়ার হিসাবে দক্ষতার জন্য সকলের শ্রদ্ধা পেয়েছেন তিনি। আশা করি তাঁর অবসর জীবন সুন্দর হবে। আগামী দিনে ক্রিকেটের সঙ্গে নিজেকে জড়িত রাখবেন এবং আমরা তাঁর কাছ থেকে আরও কিছু পাব।’’
দার পাকিস্তানের প্রথম আম্পায়ার হিসাবে জায়গা পেয়েছিলেন আইসিসির এলিট প্যানেলে। ২০১০ এবং ২০১২ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের অন্যতম আম্পায়ার ছিলেন তিনি। পাঁচটি এক দিনের বিশ্বকাপ এবং সাতটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ম্যাচ খেলানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।