পাকিস্তানের ম্যাচ বাঁচানোর কাণ্ডারি সরফরাজ আহমেদ। ছবি: পিটিআই
শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বোঝা যাচ্ছিল না ম্যাচ জিতবে কোন দল। শেষ পর্যন্ত করাচিতে পাকিস্তান বনাম নিউ জ়িল্যান্ড টেস্ট ড্র হয়ে গেল। আলো কম থাকার জন্য পুরো ওভার খেলাই হল না। জয়ের জন্য নিউ জ়িল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল একটি উইকেট আর পাকিস্তানের ১৫ রান। কোনওটাই হল না।
শেষ ইনিংসে পাকিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩১৯ রান। সেই রান তোলার পথে পাকিস্তানের বড় ভরসা হয়ে ওঠেন সরফরাজ আহমেদ। ১৭৬ বলে ১১৮ রান করেন তিনি। ২০১৯ সালের পর আবার লাল বলের সিরিজ়ে নেমেছিলেন সরফরাজ। প্রায় চার বছর পর খেলতে টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন তিনি। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে নেমে শেষ চারটি ইনিংসে তিনটি অর্ধশতরান এবং একটি শতরান করলেন সরফরাজ। ৩৫ বছর বয়সে যা তাঁর লাল বলের কেরিয়ারকে আরও কিছু দিন বাঁচার অক্সিজেন দিয়ে গেল।
মহম্মদ রিজ়ওয়ানের জায়গায় দলে নেওয়া হয় সরফরাজকে। ১৩ বছর আগে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল তাঁর। এত বছরে মাত্র ৫১টি টেস্ট খেলেছেন তিনি। শুক্রবারের আগে তাঁর টেস্ট শতরানের সংখ্যা ছিল ৩। চতুর্থ টেস্ট শতরান করলেন সরফরাজ। পাকিস্তানের মাটিতে এটাই তাঁর প্রথম শতরান। পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক এক সময় দল থেকে বাদ পড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ফিরে এসে তাঁর এই শতরান নতুন করে ভাবাবে পাকিস্তানকে।
সরফরাজের এই শতরান না থাকলে যদিও শেষ বেলার নাটকটাই হত না। আলো এতটাই কমে গিয়েছিল যে, পেস বোলারদের দিয়ে বলই করাতে পারছিল না নিউ জ়িল্যান্ড। ইশ সোধি এবং মাইকেল ব্রেসওয়েল টানা বল করে গেলেন। উইকেটও আসছিল। নাসিম শাহ ছক্কা হাঁকিয়ে পাকিস্তানকে জয়ের আশাও দেখাচ্ছিলেন। এমন অবস্থায় আম্পায়ার আলিম দার খেলা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। আলো কমে যাওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সিরিজ়ও ড্র হয়ে যায়।