বাংলা দল এ বারের রঞ্জিতে এখনও পর্যন্ত অপরাজিত। —ফাইল চিত্র
সরাসরি জয় পেতে পারত। বোনাস পয়েন্টও পেতে পারত বাংলা। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ থেকে মাত্র ৩ পয়েন্ট নিয়েই ফিরছেন মনোজ তিওয়ারিরা। ব্যাটাররা নিজেদের কাজ করলেও, বোলাররা পারলেন না দলকে জয় এনে দিতে। নিজের নামাঙ্কিত মাঠে অভিমন্যু ঈশ্বরন শতরান করলেও দলের জয় দেখতে পেলেন না।
বাংলা দল এ বারের রঞ্জিতে এখনও পর্যন্ত অপরাজিত। কিন্তু জয়ের রাস্তা খুলে ফেলেও মাত্র ৩ পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে হচ্ছে উত্তরাখণ্ড থেকে। এই ভুল থেকে নিশ্চয়ই শিক্ষা নেবেন কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল। পরের ম্যাচ থেকে বোলিং আক্রমণকে আরও জোরালো করতে চাইবেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ৩৮৭ রান তোলে বাংলা। সেই রান তাড়া করতে নেমে ২৭২ রান তোলে উত্তরাখণ্ড। কিন্তু ৪৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে গিয়েছিল তাদের। সেখান থেকে শেষ ৪ উইকেটে ২২৪ রান তুলে ফেলে উত্তরাখণ্ড। শাহবাজ় আহমেদরা কোনও ভাবেই উইকেট ফেলতে পারলেন না। ১১৫ রানে লিড পায় বাংলা। ৩ পয়েন্ট তখনই নিশ্চিত হয়ে যায়।
তৃতীয় দিনের শেষে বাংলার লক্ষ্য ছিল দ্রুত ৩০০ রানের উপর লক্ষ্য দিয়ে উত্তরাখণ্ডকে ব্যাট করতে পাঠানো। শুক্রবার সেই কাজটাই করেন অভিমন্যুরা। বাংলার ওপেনার অপরাজিত থাকেন ৮২ রানে। সুদীপ ঘরামি ৭২ রান করেন। এর পর আকাশ দীপ, প্রদীপ্ত প্রামাণিক, শাহবাজ় আহমেদদের নামিয়ে দ্রুত রান তোলার পরিকল্পনা করেছিল বাংলা। ২০৬ রান তুলে ডিক্লেয়ার করে দেয় তারা। উত্তরাখণ্ডের সামনে ৩২১ রানের লক্ষ্য রাখে বাংলা। কিন্তু ২৩ ওভার বল করে শেষ বেলায় একটিও উইকেট নিতে পারলেন না আকাশ দীপরা।
উত্তরাখণ্ডের দুই ওপেনার অবনীশ সুধা এবং জীবনজ্যোৎ সিংহ অপরাজিত থেকে যান। ৬৯ রান তোলেন তাঁরা। অর্ধশতরান করেন অবনীশ। ম্যাচটি ড্র হয়ে যায়। ৩ পয়েন্ট পায় বাংলা। ৪ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট পেয়েছে তারা। বাংলা এখনও পর্যন্ত দু’টি ম্যাচ জিতেছে এবং দু’টিতে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থেকে ৩ পয়েন্ট পেয়েছে। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলা। শীর্ষ স্থানে উত্তরাখণ্ড। তাদের রয়েছে ২০ পয়েন্ট। বাংলার পরের ম্যাচ বরোদার বিরুদ্ধে। ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে সেই ম্যাচ।