বাবর আজ়ম। —ফাইল চিত্র
ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে এসেই সুখবর পেলেন বাবর আজ়মেরা। তাঁদের নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেই প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন ক্রিকেটারেরা। বাবরদের দাবি মেনে তাঁদের বেতন অনেকটাই বাড়িয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। যেমন অধিনায়ক বাবরের বেতন বেড়েছে ২০০ শতাংশ। একই বৃদ্ধি হয়েছে মহম্মদ রিজওয়ান ও শাহিন শাহ আফ্রিদির। প্রতি মাসে ১৩ লক্ষ টাকা, অর্থাৎ বছরে ১ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা করে পাবেন তাঁরা। ক্যাটেগরি অনুযায়ী বাকি ক্রিকেটারদেরও বেতন বেড়েছে।
পাক ক্রিকেট বোর্ড একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘২৫ জন ক্রিকেটারকে নতুন চুক্তিতে রাখা হয়েছে। আইসিসির লাভের যে অংশ পাকিস্তান পায় সেখান থেকেই ক্রিকেটারদের বেতন যতটা সম্ভব বাড়ানো হয়েছে। শুধুমাত্র মাসিক বেতন নয়, ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি-ও বাড়ানো হয়েছে।’’ বোর্ড জানিয়েছে, যে টেস্ট ম্যাচের ফি ৫০ শতাংশ, এক দিনের ম্যাচের ফি ২৫ শতাংশ ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ফি ১২.৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের চারটি ক্যাটেগরিতে ভাগ করা হয়েছে। ক্যাটেগরি এ-র বেতন বেড়েছে ২০২ শতাংশ। ক্যাটেগরি বি-র বেতন বেড়েছে ১৪৪ শতাংশ। ক্যাটেগরি সি-তে থাকা ক্রিকেটারদের বেতন বেড়েছে ১৩৫ শতাংশ ও ক্যাটেগরি ডি-তে থাকা ক্রিকেটারদের বেতন বেড়েছে ১২৭ শতাংশ।
ক্যাটেগরি এ—
বাবর আজ়ম, মহম্মদ রিজওয়ান, শাহিন শাহ আফ্রিদি।
ক্যাটেগরি বি—
ফখর জমান, হ্যারিস রউফ, ইমাম উল হক, মহম্মদ নওয়াজ, নাসিম শাহ ও শাদাব খান।
ক্যাটেগরি সি—
ইমাদ ওয়াসিম ও আবদুল্লা শফিক।
ক্যাটেগরি ডি—
ফাহিম আশরফ, হাসান আলি, ইফতিখার আহমেদ, ইহশানুল্লা, মহম্মদ হ্যারিস, মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, সাইম আয়ুব, সলমন আঘা, সরফরাজ আহমেদ, সাউদ শাকিল, শাহনওয়াজ দাহানি, শান মাসুদ, উসামা মির ও জামান খান।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে শুরু হবে এই চুক্তি। তিন বছরের চুক্তি হলেও প্রতি বছরের শেষে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স দেখে নেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী চুক্তিতে বদল হতে পারে।
এই বিষয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান জাকা আশরফ বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিনের আলোচনার পরে ক্রিকেটার ও ক্রিকেট বোর্ড একটা সমঝোতায় এসেছে। তাই ক্রিকেটারদের নতুন চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’’ বাবর খুশি যে তাঁদের লড়াই কাজে এসেছে। তিনি বলেন, ‘‘এটা ঐতিহাসিক চুক্তি। হয়তো সময় লাগল। আমাদের বিশ্বাস ছিল যে আমাদের লড়াই বৃথা যাবে না। বিশ্বকাপের আগে নতুন চুক্তি আমাদের বাড়তি মনোবল দেবে।’’
কেন্দ্রীয় চুক্তি নিয়ে দীর্ঘ দিন বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা চলছিল বাবরদের। প্রস্তাব পছন্দ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা সই করবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন ক্রিকেটারেরা। চুক্তি ছাড়াই এশিয়া কাপে খেলে পাকিস্তান। বিশ্বকাপেও তেমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। যদিও ভারতে পা রাখার পরেই ভাল খবর পেলেন ক্রিকেটারেরা।