বাবর আজম ও বিরাট কোহলী।
বিরাট কোহলির মতো বাবর আজমও ছন্দে ছিলেন না। কোহলির মতো তিনিও শতরান করে ছন্দে ফিরলেন। সেই সঙ্গে কোহলিকেই টপকে গেলেন পাকিস্তান অধিনায়ক।
বৃহস্পতিবার করাচিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৬৬ বলে অপরাজিত ১১০ রান করেন বাবর। সেই সঙ্গে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৮,০০০ রান হয়ে গেল তাঁর। এই মাইলফলকে পৌঁছতে তাঁর লাগল ২১৮টি ইনিংস। পিছনে ফেললেন কোহলিকে। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আট হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছতে ২৪৩টি ইনিংস নিয়েছিলেন। এই তালিকায় এখনও শীর্ষে ক্রিস গেল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ব্যাটার ২১৩টি ইনিংসে আট হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছন।
বাবর এবং মহম্মদ রিজওয়ানের ওপেনিং জুটি পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে জিতিয়ে দেয়। প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৯ রান তোলে। জবাবে পাকিস্তান তিন বল বাকি থাকতে কোনও উইকেট না হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। রিজওয়ান ৫১ বলে ৮৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। বাবরের ইনিংসে ১১টি চার, পাঁচটি ছয় রয়েছে। রিজওয়ান পাঁচটি চার, চারটি ছয় মারেন।
ওপেনিং জুটিতেও বিশ্বরেকর্ড হয়। টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে রান তাড়া করা ইনিংসে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি। নিজেদেরই রেকর্ড ভাঙেন বাবর-রিজওয়ান। ২০২১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এই জুটি ১৯৭ রান তুলেছিল।
টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে যে কোনও উইকেট জুটিতে মোট রানে বাবর-রিজওয়ানই এখন এক নম্বরে। মোট ৩৬টি ইনিংস খেলে ১৯২৯ রান করেছে এই জুটি। গড় ৫৬.৭৩। এর মধ্যে রয়েছে সাতটি শতরান, ছ’টি অর্ধশতরানের জুটি। তাঁরা বৃহস্পতিবার টপকে গেলেন ভারতের শিখর ধাওয়ন এবং রোহিত শর্মার জুটিকে। ভারতীয় এই জুটির ৫২টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ইনিংসে ১৭৪৩ রান রয়েছে।
এই ম্যাচে ব্যক্তিগত একটি রেকর্ডও করেছেন বাবর। পাকিস্তানের অধিনায়ক হিসাবে সব থেকে বেশি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ জেতার রেকর্ড করলেন তিনি। মোট ৪৯টি ম্যাচে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে বাবর জিতেছেন ৩০টি ম্যাচ। টপকে গেলেন সরফরাজ আহমেদকে। তিনি ৩৭টি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে জিতেছেন ২৯টি ম্যাচ।
বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জিতে সাত ম্যাচের সিরিজ়ে সমতা ফিরিয়েছে পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ড জিতেছিল ৬ উইকেটে। পরের ম্যাচ শুক্রবার।