নিউ জ়িল্যান্ডের ব্যাটার আউট হওয়ার পরে উল্লাস ভারতীয় দলের। গোটা ম্য়াচে দাপট দেখালেন বোলাররা। ছবি: বিসিসিআই
লখনউয়ে ভারত-নিউ জ়িল্যান্ড দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে গোটা ম্যাচে একটিও ছক্কা মারতে পারলেন না ব্যাটাররা। দুই ইনিংসে একটি বলও সরাসরি বাউন্ডারির বাইরে গিয়ে পড়ল না। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল। বাংলাদেশের মাঠের নজিরকেও ছাপিয়ে গেল একানা স্টেডিয়ামের পিচ।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৯৯ রান করেছিল নিউ জ়িল্যান্ড। ভারত সেই রান তাড়া করে জেতে এক বল বাকি থাকতে। গোটা ম্যাচে দাপট দেখালেন দু’দলের বোলাররা। বেশি ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছিল স্পিনারদের। প্রথম ওভার থেকেই বল ঘুরছিল। কোনও ব্যাটার সাবলীল ভাবে খেলতে পারছিলেন না। সবার স্ট্রাইক রেট ছিল ১০০-র নীচে। দু’দলে অসংখ্য মারকুটে ব্যাটার থাকলেও মাঠে কেউ হাত খুলে খেলতে পারলেন না।
লখনউয়ে গোটা ম্যাচে ২৩৯টি বল হয়েছে। একটিও ছক্কা হয়নি তাতে। এর আগে মীরপুরে ২০২১ সালে বাংলাদেশ বনাম নিউ জ়িল্যান্ড ম্যাচে ২৩৮ বলে একটিও ছক্কা হয়নি। সেই নজিরও ছাপিয়ে গেল লখনউ। এই তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছে কার্ডিফ। ২০১০ সালে সেখানে ইংল্যান্ড বনাম পাকিস্তানের একটি ম্যাচে ২২৩ বলে কোনও ছক্কা হয়নি। ২০২১ সালে কলম্বোতে শ্রীলঙ্কা বনাম ভারত ম্যাচেও ২০৭ বলে কোনও ছক্কা হয়নি।
পিচ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভারত অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘‘এই রকম উইকেট আমাদের কাছে একটা ধাক্কা। আমাদের আরও ভাল উইকেট রয়েছে। খেলা যাতে ভাল উইকেটে হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এই রকম উইকেটে ১২০ রান তুললেই জেতা সম্ভব।’’ একই কথা শোনা গিয়েছে ভারতীয় দলের বোলিং কোচ পরশ মামব্রের গলাতেও। কেন পিচ ও রকম হয়েছে তার দায় পিচ প্রস্তুতকারকের উপর চাপিয়েছেন তিনি। মামব্রে বলেছেন, ‘‘পিচ খারাপ হওয়ার জন্য দল দায়ী নয়। দল কোনও রকম নির্দেশ দেয়নি। তাই পিচের দায় সম্পূর্ণ ভাবে পিচ প্রস্তুতকারকের। তিনিই বলতে পারবেন কেন এ রকম পিচ হল।’’
এই রকম পিচে ম্যাচ জিতে ভাগ্যের কথা শোনা গিয়েছে মামব্রের মুখে। হার্দিক পাণ্ড্যদের বোলিং কোচ বলেছেন, ‘‘এই পিচে ১২০-১৩০ রান করলে তাড়া করা সমস্যা। ভাগ্য ভাল যে ওদের ৯৯ রানে আটকে রাখতে পেরেছি। সেটা তুলতে গিয়েই সমস্যা হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যে জিতেছি সেটাই আসল। ভাগ্য ভাল ছিল বলে আমরা জিতেছি।’’