নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরালেন সাউদিরা। ছবি: টুইটার
সারা দিনে রান হল ২৪৮। উইকেট পড়ল ১৭টি। লর্ডসে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে প্রথম টেস্টের প্রথম দিন দাপট দেখালেন দু’দলের বোলাররা। প্রথম সেশন যদি অ্যান্ডারসনদের হয়, তা হলে দিনের শেষ সেশন সাউদিদের। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৩২ রানে অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। দেখে মনে হচ্ছিল প্রথম দিনই ম্যাচের দখল নেবে ইংল্যান্ড। কিন্তু কিউয়ি বোলাররা তা হতে দিলেন না। দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান সাত উইকেটে ১১৬। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং দেখে বোঝা গেল কেন শেষ ১৭টি টেস্টের মধ্যে মাত্র একটি জিতেছে তারা।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। কিন্তু তাঁর সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণ করলেন ইংল্যান্ডের বোলাররা। প্রথম ওভার থেকেই ছন্দে বল করছিলেন অ্যান্ডারসন। ইংল্যান্ডের নতুন অধিনায়ক বেন স্টোকস আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সাজিয়েছিলেন। স্লিপে পাঁচ-ছ’জনকে রেখে ক্রমাগত অফ স্টাম্পের বাইরে বল করছিলেন তিনি। ফলে সমস্যায় পড়েন কিউয়ি ব্যাটাররা। উইল ইয়ং, টম ল্যাথাম, কেন উইলিয়ামসন, ডেভন কনওয়ে, নিউজিল্যান্ডের প্রথম চার জন ব্যাটার দু’অঙ্কের সংখ্যায় পৌঁছতে পারেননি। মাত্র ১২ রানে চার উইকেট পড়ে যায়। স্লিপে দুরন্ত ফিল্ডিং করেন জনি বেয়ারস্টো। প্রথম তিনটি ক্যাচই ধরেন তিনি।
অভিষেক টেস্টে নজর কাড়লেন ফাস্ট বোলার ম্যাটি পটস। নিজের প্রথম ওভারেই কিউয়ি অধিনায়ক উইলিয়ামসনকে ফেরান তিনি। পাঁচ ও ছয় নম্বরে নামা ড্যারিল মিচেল ও টম ব্লান্ডেল কিছুটা জুটি বাঁধার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁদেরও সাজঘরে ফেরান তিনি। ৪৫ রান সাত উইকেট পড়ে যায় তাদের।
দেখে মনে হচ্ছিল, খুব অল্প রানে অলআউট হয়ে যাবে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু ডি গ্র্যান্ডহোম ও টিম সাউদি আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলা শুরু করেন। বেশ কয়েকটি বড় শট মারেন তাঁরা। ফলে ১০০ রানে পার হয় নিউজিল্যান্ডের। সাউদি ২৬ রান করে আউট হন। শেষ উইকেট নেন অধিনায়ক স্টোকস। ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন ডি গ্র্যান্ডহোম।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয় ইংল্যান্ডের। দুই ওপেনার অ্যালেক্স লিস ও জ্যাক ক্রলি ভাল খেলছিলেন। নতুন বলের ফায়দা তুলতে পারেননি সাউদিরা। প্রথম উইকেটে ৫৯ রান যোগ করেন দুই ব্যাটার। ইংল্যান্ডকে প্রথম ধাক্কা দেন কাইল জেমিসন। দীর্ঘদেহী এই বোলার ৪৩ রানের মাথায় ক্রলিকে সাজঘরে ফেরান। তিন নম্বরে নামা ওলি পোপ রান পাননি। তাঁকেও ফেরান জেমিসন।
ইংল্যান্ডকে সব থেকে বড় থাক্কা দেন ডি গ্র্যান্ডহোম। তাঁর বাউন্সারে শটের নিয়ন্ত্রণ না রাখতে পেরে আউট হন জো রুট। প্রাক্তন অধিনায়ক আউট হওয়ার পরে ধস নামে ইনিংসে। রান পাননি স্টোকসও। মাত্র এক রান করে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে ইংল্যান্ড। মাত্র ২৮ বলের মধ্যে পাঁচ উইকেট পড়ে যায় তাদের। একটা সময় দেখে মনে হচ্ছিল প্রথম দিনেই শেষ হয়ে যাবে ইংল্যান্ডের ইনিংস। কিন্তু শেষ দিকে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন বেন ফোকস ও স্টুয়ার্ট ব্রড। দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান ১১৬। নিউজিল্যান্ডের থেকে এখনও ১৬ রান পিছিয়ে তারা।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।