অজিঙ্ক রাহানে। —ফাইল চিত্র।
টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অবশিষ্ট ভারতের অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। শুরুটাও ভাল হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু ধীরে ধীরে খেলার দখল নিল মুম্বই। অর্ধশতরান করলেন অজিঙ্ক রাহানে, শ্রেয়স আয়ার ও সরফরাজ় খান। শ্রেয়স আউট হলেও ক্রিজ়ে রয়েছেন সরফরাজ় ও রাহানে। শতরানের দিকে এগোচ্ছেন মুম্বইয়ের অধিনায়ক রাহানে। অবশিষ্ট ভারতের হয়ে বল হাতে ৩ উইকেট নিয়েছেন বাংলার মুকেশ কুমার।
ব্যাট করতে নেমে তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যান পৃথ্বী শ। মাত্র সাত বল খেলেন তিনি। করেন ৪ রান। মুকেশের বলে ক্যাচ ধরেন দেবদত্ত পড়িক্কল। সেই ওভারেই মুকেশ আউট করেন হার্দিক তামোরেকে। আর এক ওপেনার আয়ুষ মাথরে ১৯ রান করে মুকেশের বলেই আউট হন। ৩৭ রানে ৩ উইকেট পড়ে যায় মুম্বইয়ের।
সেখান থেকে খেলা ধরেন রাহানে ও শ্রেয়স। দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার দলের রানকে টেনে নিয়ে যান। রাহানে সময় নিলেও শ্রেয়স দ্রুত রান করছিলেন। মুকেশ বাদে অবশিষ্ট ভারতের বাকি বোলারেরা তেমন নজর কাড়তে পারলেন না। যশ দয়াল ১৫ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ১ উইকেট নিয়েছেন। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ কোনও উইকেট পাননি।
রাহানে ও শ্রেয়সের মধ্যে ১০২ রানের জুটি হয়। ৮৪ বলে ৫৭ রান করে যশের বলে আউট হন শ্রেয়স। ছ’টি চার ও দু’টি ছক্কা মারেন তিনি। চার উইকেট পড়ার পরে রাহানের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সরফরাজ়। ইরানি কাপে খেলার জন্য বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলে থাকা সরফরাজ়কে ছেড়ে দিয়েছে বোর্ড। সেখানে সুযোগ পাননি। এখানে রান করলেন তিনি। শ্রেয়সের মতো তিনিও দ্রুত রান করেন।
প্রথম দিন মাত্র ৬৮ ওভার খেলা হয়। ৯৮ রানের জুটি গড়ে দিনের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত রাহানে ও সরফরাজ়। অর্ধশতরান করে খেলছেন তাঁরা। সরফরাজ় ৮৮ বলে ৫৪ রান করে খেলছেন। তিনি ছ’টি চার মেরেছেন। রাহানে ১৯৭ বল খেরে ৮৬ রানে ব্যাট করছেন। ছ’টি চার ও একটি ছক্কা মেরেছেন তিনি। ধীরে ধীরে শতরানের দিকে এগোচ্ছেন রাহানে। ভারতীয় দলে দীর্ঘ দিন জায়গা পাননি তিনি। আর জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনাও প্রায় নেই। সেই রাহানেই দেখাচ্ছেন, এখনও ক্রিকেট বাকি রয়েছে তাঁর মধ্যে।
প্রথম দিনের শেষে মুম্বইয়ের রান ৪ উইকেটে ২৩৭। দুই ব্যাটার ভাল খেলছেন। এখনও শার্দূল ঠাকুর, শামস মুলানি, তনুষ কইতানেরা রয়েছেন। তাঁরাও ব্যাট করতে পারেন। ইরানি কাপে প্রথম ইনিংসে বড় রানের পথে এগোচ্ছে মুম্বই। এখন দেখার দ্বিতীয় দিন অবশিষ্ট ভারতের বোলারেরা দলকে খেলায় ফেরাতে পারেন কি না।