মুশির খান। —ফাইল চিত্র।
ফর্মে রয়েছেন মুশির খান। তাঁকে আউটই করতে পারলেন না বরোদার বোলারেরা। ২০৩ রান করে অপরাজিত রইলেন মুশির। সরফরাজ় খানের ভাই রঞ্জি ট্রফিতে এই প্রথম দ্বিশতরান করলেন। এর আগে তাঁর দাদা একাধিক বার রঞ্জিতে দ্বিশতরান করেছেন। এ বার মুশিরও সেই মাইলফলক পার করলেন।
মুম্বইয়ের ৩৮৪ রানের মধ্যে মুশির ২০৩ রান করে অপরাজিত রইলেন। বাকি ব্যাটারদের মধ্যে হার্দিক তামোরে ছাড়া আর কোনও ব্যাটার অর্ধশতরানও করতে পারেননি। ভার্গভ ভাট ৭ উইকেট তুলে নেন। ব্যাট করতে নেমে বরোদা দিনের শেষে ১২৭ রানে ২ উইকেট হারিয়েছে। শাশ্বত রাওয়াত ৬৯ রান করে অপরাজিত রয়েছেন। অধিনায়ক বিষ্ণু সোলাঙ্কি ২৩ রানে অপরাজিত।
সৌরাষ্ট্র বেশ বিপাকে। ১৮৩ রানে অল আউট হয়ে যায় তারা। জবাবে তামিলনাড়ু ৩০০ রান তুলেছে ৬ উইকেট হারিয়ে। প্রথম ইনিংসে লিড নিয়ে নিয়েছে তাড়া। তামিলনাড়ুর হয়ে বাবা ইন্দ্রজিৎ ৮০ রান করেন। বুপতি কুমার করেন ৬৫ রান। ৬০ রান করেন সাই কিশোর।
চাপে অন্ধ্রও। মধ্যপ্রদেশ প্রথম ইনিংসে ২৩৪ রান করেছিল। জবাবে অন্ধ্রের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৭২ রানে। দ্বিতীয় দিনের শেষে মধ্যপ্রদেশ কোনও উইকেট না হারিয়ে ২১ রান করেছে। এগিয়ে রয়েছে ৮৩ রানে। অন্ধ্রের হয়ে সব থেকে বেশি রান করণ শিন্ডের। ৩৮ রান করেন তিনি। হনুমা বিহারী ১৪ রান করেন। অধিনায়ক রিকি ভুঁই করেন ৩২ রান। মধ্যপ্রদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন কুমার কার্তিকেয় এবং অনুভব আগরওয়াল।
কোয়ার্টার ফাইনালের অন্য ম্যাচে, বিদর্ভ ৪৬০ রান তুলেছে। কর্নাটক ৯৮ রানে ২ উইকেট হারিয়েছে। এখনও ৩৬২ রানে পিছিয়ে তারা। শতরান করেছেন অথর্ব তাওড়ে। যশ রাঠোর ৯৩ রান করে আউট হয়ে যান। করুণ নায়ার করেন ৯০ রান। বিদ্যাত কাভেরপ্পা ৪ উইকেট নিয়েছেন। দিনের শেষে কর্নাটকের হয়ে ক্রিজ়ে রয়েছেন রবিকুমার সমর্থ (৪৩) এবং নিকিন জোশ (২০)।