মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। —ফাইল চিত্র।
জনি বেয়ারস্টোর আউট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ইংরেজ অধিনায়ক বেন স্টোকস মনে করেন অস্ট্রেলিয়া দল ক্রিকেটের নীতির বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করেছে। ১২ বছর আগে এমনই একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ভারত বনাম ইংল্যান্ড টেস্টে। সে বার আউট ছিলেন ইয়ান বেল। কিন্তু মহেন্দ্র সিংহ ধোনি তাঁকে ফিরিয়ে এনেছিলেন।
২০১১ সালে ভারত বনাম ইংল্যান্ড টেস্টে কী হয়েছিল? দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার সময় ইশান্ত শর্মার বল লেগ সাইডে মারেন অইন মর্গ্যান। প্রবীণ কুমার বাউন্ডারিতে সেই বল বাঁচান। কিন্তু বল বাউন্ডারির এতই কাছে ছিল যে, ক্রিজে় থাকা মর্গ্যান এবং বেল মনে করেন যে চার রান হয়েছে। ভারতীয় ফিল্ডারেরাও সেটাই মনে করেন। প্রবীণ বলটি উইকেটরক্ষক ধোনির কাছে ফেরত পাঠালে তিনি উইকেট ভেঙে দেন। সেই সময় ক্রিজ় ছেড়ে বেরিয়ে বেল কথা বলছিলেন মর্গ্যানের সঙ্গে। তৃতীয় আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত জানান। চা-বিরতি হয়ে যাওয়ায় মাঠ ছাড়েন সব ক্রিকেটারেরা। সেই সময় ইংরেজ সমর্থকেরা ভারতীয় ক্রিকেটারদের বিদ্রুপ করেন। কিন্তু শেষ সেশনে দেখা যায় মর্গ্যানের সঙ্গে বেল ব্যাট করতে নামছেন। ধোনি সিদ্ধান্ত নেন আউটটি ফিরিয়ে নেওয়ার। সেই টেস্টটি ভারত ৩১৯ রানে হেরে যায়।
২০১১ সালের ওই ঘটনার সময় ধারাভাষ্যকার মাইকেল হোল্ডিং বলেছিলেন, “বলটি তখনও ডেড (অর্থাৎ ওই বলে খেলা তখনও চলছে) নয়। কী হচ্ছে বুঝতে পারছি না। দুই ব্যাটার ক্রিজে়র বাইরে ছিল। চার যখন হয়নি, তখন এই ঘটনাটি বেশ আকর্ষণীয়।” শেন ওয়ার্ন বলেছিলেন, “বল তো ডেড হয়নি। হয়েছে কী? ব্যাটার ভেবে নিয়েছে যে বাউন্ডারি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমার মনে হয় না বল বাউন্ডারি পার করেছে। ব্যাটারেরা ক্রিজ় ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে। ভারতীয়রা উইকেট ভেঙে দিয়েছে। চার যখন হয়নি, তখন অবশ্যই আউট।”
বেয়ারস্টোর ঘটনা নিয়েও আলোচনা চলছে। ম্যাচ শেষে স্টোকস বলেন, “আমি ওই ভাবে ম্যাচ জিততে রাজি নই। ওটা আউট ছিল, সেটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে আমি যদি অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়ক হতাম, তাহলে আম্পায়ারের উপর আরও বেশি চাপ দিয়ে জিজ্ঞেস করতাম যে, ওভার হয়েছে কি না। কিন্তু এটা ক্রিকেটের নীতির বিরুদ্ধে। আমি এটা করতাম না। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ওটা ম্যাচ জেতানো মুহূর্ত। কিন্তু আমি কি ওই ভাবে ম্যাচ জিততে রাজি? আমার উত্তর, না।”
অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স সম্পূর্ণ বিপরীত কথা বললেন। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় অ্যালেক্স ক্যারি কয়েক বল আগে থেকেই লক্ষ্য করে যে, বেয়ারস্টো ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। ওই বলে কোথাও খেলা থামেনি। বল উইকেটরক্ষকের হাতে গিয়েছে এবং সে সেটা ছুড়ে উইকেট ভেঙেছে। আমার কাছে সেটা একেবারেই ক্রিকেটের নীতি মেনেই হয়েছে। স্বচ্ছ ভাবে খেলা হয়েছে। নিয়ম মেনে খেলা হয়েছে। কেউ কেউ হয়তো মানবেন না। শনিবারের ক্যাচটিও যেমন অনেকে মানতে চাননি। আমি সে ভাবেই দেখছি।”