মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ছবি: পিটিআই।
পর পর দু’টি ম্যাচে চেন্নাই রান তাড়া করার সময় খেলতে নেমেছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। বেঙ্গালুরু ম্যাচে তাঁর ন’নম্বরে নামা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছিল। রাজস্থান ম্যাচে সাতে নামলেও দলকে জেতাতে পারেননি। প্রশ্ন উঠছে, ধোনি কি আর আগের মতো ‘ফিনিশার’ নন? অন্তত সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, ধোনি আর আগের মতো ম্যাচ জেতানো ক্রিকেটার নন।
বেঙ্গালুরু ম্যাচে ধোনি ১৬ বলে অপরাজিত ৩০ রান করেছিলেন। দল হেরেছিল ৫০ রানে। রাজস্থান ম্যাচে ১১ বলে ১৬ রান করার পর শেষ ওভারে আউট হয়ে যান। দল হেরেছে ৬ রানে।
২০২৩ সালের আইপিএল মরসুম থেকে দেখা যাচ্ছে, চেন্নাইয়ের হারা ম্যাচে ধোনির রান বেশি। জয়ের ম্যাচে সে ভাবে অবদান রাখতে পারেননি। জয়ের সময়ে তিনটি ইনিংসে ধোনি ৯ বলে ৩ রান করেছেন। তবে যে ম্যাচগুলিতে চেন্নাই হেরে গিয়েছে, সে রকম ৬টি ইনিংসে ধোনি ৮৪ বলে ১৬৬ রান করছেন। মেরেছেন ১৩টি চার এবং ১৩টি ছয়। এই তথ্য থেকে প্রশ্ন উঠছে, চেন্নাইয়ের সাফল্যে ব্যাটার হিসাবে ধোনির অবদান কি আর নেই-ই?
কেন ধোনি আগের মতো ম্যাচ জেতাতে পারছেন না বা কেন এত পরের দিকে নামছেন সে সম্পর্কে মুখ খুলেছেন চেন্নাইয়ের কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং। রাজস্থান ম্যাচে হারের পর ফ্লেমিং বলেন, “ধোনি নিজের শরীর ভাল ভাবে বোঝে। ওর হাঁটু আর আগের মতো নেই। ওকে হয়তো দেখলে বোঝা যাবে না, কিন্তু ওকে হাঁটুর খেয়াল রাখতে হয়। ১০ ওভার ব্যাট করার ক্ষমতা ধোনির নেই। কারণ, ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি দৌড়ে রান নেওয়াও রয়েছে। তাই একটা ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। এটা ভুললে চলবে না যে ধোনিকে ২০ ওভার উইকেটের পিছনেও থাকতে হয়।”
ধোনি কত ওভার ব্যাট করবেন তা পুরোটাই পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন ফ্লেমিং। তিনি বলেন, “যদি কোনও ম্যাচে আমরা ভাল জায়গায় থাকি, সে ক্ষেত্রে ধোনি চেষ্টা করে যতটা সম্ভব পরে নামতে। যদি কোনও ম্যাচে দল কঠিন পরিস্থিতিতে থাকে, তখন ও একটু আগে নামে। কিন্তু কখনওই ১০ ওভার নয়। ১৩-১৪ ওভারের পর ধোনি নামবে। ওকে আমাদের দরকার। ওর নেতৃত্ব আমাদের দরকার।”