বাবর আজম (বাঁ দিকে) এবং রোহিত শর্মা। — ফাইল চিত্র।
এশিয়া কাপের সুপার ফোরে শুধুমাত্র ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের জন্যে রাখা হয়েছে রিজার্ভ দিন। আচমকাই শুক্রবার এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিযোগিতার শুরুতে বলা হয়নি। আয়োজকদের এই সিদ্ধান্তে তীব্র ক্ষুব্ধ ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বেঙ্কটেশ প্রসাদ। তিনি চান, রিজার্ভ ডে-র খেলাও বৃষ্টিতে ভেস্তে যাক, যাতে আয়োজকদের এই অন্যায্য সিদ্ধান্তের কোনও দাম না থাকে।
প্রসাদ টুইট করেছেন, “যদি এই সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে তা হলে চূড়ান্ত লজ্জাজনক। আয়োজকরা প্রতিযোগিতা নিয়ে ছেলেখেলা করছেন। একটা প্রতিযোগিতায় কোনও ভাবেই দুটো দলের জন্যে আলাদা নিয়ম হতে পারে না। যদি সঠিক বিচারের কথা বলেন, তা বলে আমি চাইব প্রথম দিন এবং রিজার্ভ দিন দুটোই যেন বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়। দ্বিতীয় দিন যেন আরও বেশি বৃষ্টি হয়। এই নোংরা পরিকল্পনা যাতে কোনও ভাবে সফল না হয় সেটাই চাই।”
শুক্রবার প্রতিযোগিতার আয়োজক পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড টুইট করে, ‘‘খারাপ আবহাওয়ার জন্য ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বাতিল হলে তা ১১ সেপ্টেম্বর হবে।’’ বলা হয়, ১০ সেপ্টেম্বর যে অবস্থায় খেলা বন্ধ হবে, ১১ সেপ্টেম্বর সেই অবস্থা থেকে খেলা শুরু হবে। ১০ তারিখের টিকিট দেখিয়েই ১১ তারিখ স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে পারবেন দর্শকও।
তার পর শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশ প্রকাশ্যে সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে। বাংলাদেশের কোচ চণ্ডিকা হাতুরুসিঙ্ঘের দাবি, তাঁদের সঙ্গে কথা না বলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘‘এটা ঠিক নয়। আমাদের ম্যাচেও অতিরিক্ত একটা দিন দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। ওরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদি আমাদের মতামত চাইত, তা হলে নিশ্চয়ই দিতাম।”
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের রিজার্ভ দিন নিয়ে বিস্মিত শ্রীলঙ্কার কোচ ক্রিস সিলভারউডও। বলেছেন, “অবাক করা ব্যাপার। প্রথম বার শুনেই চমকে গিয়েছিলাম। আমরা তো প্রতিযোগিতার আয়োজক নই। তাই এ ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই।”
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড অবশ্য এই নিয়মের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘‘ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের জন্য ১১ সেপ্টেম্বর একটি অতিরিক্ত দিন রাখা হয়েছে। এশিয়া কাপের প্লেয়িং কন্ডিশন সংশোধন করে বিষয়টি কার্যকর করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সুপার ফোরের চারটি দল এবং এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল সম্মিলিত ভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’