কুলদীপ যাদব। —ফাইল চিত্র।
এক সময় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। জায়গা হত না আইপিএলের দলেও। সেই কুলদীপ যাদবই এশিয়া কাপের সেরা ক্রিকেটার। বিশ্বকাপেও তাঁর উপর ভরসা রেখেছে দল। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে ভারতের তুরুপের তাস তিনিই।
এ বারের এশিয়া কাপে কুলদীপ নেন ৯ উইকেট। রবিবার এক ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়ে তাঁকে টপকে ১০ উইকেট নিয়েছেন সিরাজ। কিন্তু গোটা এশিয়া কাপ জুড়ে কুলদীপের স্পিনের মায়াজাল বিপদে ফেলেছে অনেক দলকেই। কুলদীপ বলেন, “গত দেড় বছর ধরে আমি নিজের ছন্দ ধরে রাখার দিকে নজর দিয়েছি। অনেক বেশি আক্রমণাত্মক বল করি আমি। ভাল লাগছে নিজের বোলিং। সাদা বলের ক্রিকেটে লেংথ খুব গুরুত্বপূর্ণ। শুধু উইকেট নিলে হয় না, লেংথও ঠিক রাখতে হয়। সেটাই করার চেষ্টা করি। রোহিতকে ধন্যবাদ। ও আমাকে উৎসাহ দেয়। আর আমাদের পেসারেরা শুরুতে উইকেট তুলে নিলে স্পিনারদের কাজটা সহজ হয়ে যায়।”
কঠোর পরিশ্রমের ফল পাচ্ছেন কুলদীপ। এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বল করার সুযোগ পাননি। নেপালের বিরুদ্ধে উইকেট না পেলেও ১০ ওভারে মাত্র ৩৪ রান দেন তিনি। সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট নেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নেন চার উইকেট। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। ফাইনালে এক ওভারের বেশি বল করার প্রয়োজন হয়নি কুলদীপের। দু’বছর আগে যদি কেউ বলতেন তিনি ২০২৩ সালে এক দিনের বিশ্বকাপ খেলবেন, তাহলে হয়তো অনেকেই তা বিশ্বাস করতেন না। সেই সময় শুধু ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়াই নয়, আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়েও সুযোগ পেতেন না কুলদীপ। কিন্তু এক বছরের মধ্যেই বাঁহাতি স্পিনারের কেরিয়ার ঘুরতে শুরু করে। ছোটবেলার কোচ কপিল পাণ্ডে এবং ভারতের প্রাক্তন বাঁহাতি স্পিনার সুনীল যোশীর প্রশিক্ষণে নিজেকে পাল্টে ফেলেন কুলদীপ। বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে দলকে এশিয়ার সেরা করলেন। এ বার আরও বড় ট্রফির দিকে নজর থাকবে তাঁর।
এশিয়া কাপ জিতে দলের সহ-অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য প্রশংসা করেন দলের একতার। তিনি বলেন, “একটা দল হিসাবে আমরা ভাল খেলেছি। চাপের মুখে ফিরে এসেছি। ব্যাটারেরা ভাল খেলেছে, বোলারেরা নিজেদের কাজ করেছে।” চোট থেকে ফিরে লোকেশ রাহুল নিজেকে প্রমাণ করেছেন এ বারের এশিয়া কাপে। তিনি বলেন, “দু’সপ্তাহ আগেও খুব চিন্তা ছিল আমার। কিন্তু এখানে খুব ভাল ম্যাচ খেলেছি। রান পেয়েছি, উইকেটের পিছনে ভাল খেলেছি। আশা করব আগামী দু’মাস এই ফর্ম ধরে রাখতে পারব।”