রঞ্জি সেমিফাইনালে মুম্বইয়ের হয়ে খেলছেন শ্রেয়স আয়ার। ছবি: পিটিআই।
দু’টি ম্যাচ মিলিয়ে সারা দিনে পড়ল ২৩টি উইকেট। রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালের দু’টি ম্যাচেই দাপট দেখালেন বোলারেরা। বরোদার বিরুদ্ধে প্রথম দিনের শেষে ভাল জায়গায় চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের মধ্যপ্রদেশ। তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে এগিয়ে রয়েছে মুম্বইও।
মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি বিদর্ভের বেশির ভাগ ব্যাটার। পণ্ডিতের দলেক পেসারদের খেলতে সমস্যায় পড়েন তাঁরা। একমাত্র করুণ নায়ার এক দিকে ধরে থাকেন। তিনি অর্ধশতরান করেন। কিন্তু নায়ারকে কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি। ফলে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৭০ রান করে বিদর্ভ। নায়ার ৬৩ রান করেন।
মধ্যপ্রদেশের বোলারদের মধ্যে সব থেকে সফল আবেশ খান। ৪টি উইকেট নেন তিনি। ২টি করে উইকেট নেন কুলবন্ত খেজরোলিয়া ও বেঙ্কটেশ আয়ার। ১টি করে উইকেট যায় অনুভব আগরওয়াল ও কার্তিকেয় সিংহের ঝুলিতে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে যশ দুবের উইকেট হারিয়েছে মধ্যপ্রদেশও। কিন্তু হিমাংশু মন্ত্রী ও হর্ষ গাওয়ালি উইকেটে রয়েছেন। দিনের শেষে দলের রান ১ উইকেটে ৪৭। বিদর্ভের থেকে ১২৩ রান পিছিয়ে মধ্যপ্রদেশ। দ্বিতীয় দিন লিড নেওয়ার লক্ষ্যে নামবে তারা।
রঞ্জির অপর সেমিফাইনালে মুখ থুবড়ে পড়ে তামিলনাড়ুর ব্যাটিংও। দলের প্রথম চার ব্যাটার দু’অঙ্কে যেতে পারেননি। বিজয় শঙ্কর ও ওয়াশিংটন সুন্দর জুটি না বাঁধলে সমস্যা হত। শঙ্কর ৪৪ রান করেন। ভারতীয় শিবির থেকে রঞ্জি খেলতে আসা সুন্দর ৪৩ রান করেন। ১৪৬ রানে শেষ হয়ে যায় তামিলনাড়ুর ইনিংস।
মুম্বইয়ের বোলারদের মধ্যে সব থেকে বেশি উইকেট যায় তুষার দেশপাণ্ডের ঝুলিতে। ৩টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। ২টি উইকেট নিয়েছেন শার্দূল ঠাকুর, মুশির খান ও তনুশ কোটিয়ান। ১টি উইকেট নেন মোহিত অবস্তি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পৃথ্বী শ ও ভূপেন লালওয়ানির উইকেট হারায় মুম্বই। দলের ইনিংস ধরেন মুশির। প্রথম দিনের শেষে মুম্বইয়ের রান ২ উইকেটে ৪৫। তামিলনাড়ুর থেকে ১০১ রান পিছিয়ে তারা। এখনও অজিঙ্ক রাহানে, শার্দূলেরা রয়েছেন দলে। দ্বিতীয় দিন লিড নেওয়ার লক্ষ্যে নামবেন তাঁরা।