বেঙ্কটেশ আয়ার এবং অজিঙ্ক রাহানে। —ফাইল চিত্র।
৩৯ রানে হার কলকাতার। ইডেনের পিচে কলকাতার স্পিনারেরা উইকেট নিতে না পারলেও গুজরাতের স্পিনারের উইকেট নিলেন। তাঁরাই কেকেআর-কে হারিয়ে দিলেন।
ন’নম্বরে ব্যাট করতে পাঠানো হল অঙ্গকৃশ রঘুবংশীকে। তিনি এ বারের আইপিএলে কলকাতার সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটার। কিন্তু প্রথম বল থেকেই বড় শট খেলে ম্যাচ জিতিয়ে দেওয়ার মতো ক্রিকেটার নন। সাধারণত তিন বা চার নম্বরে ব্যাট করেন অঙ্গকৃশ। ধীরে ধীরে ইনিংস গড়েন। তাঁকে সেই সুযোগ দেওয়া হল না। এমন সময় ব্যাট করতে পাঠানো হল যখন ২১ বলে ৮০ রান প্রয়োজন।
এ বারের আইপিএলে ফর্মে নেই রাসেল। তবুও তাঁকে খেলিয়ে যাচ্ছে কলকাতা। ভুগতেও হচ্ছে। ১৫ বলে ২১ রান করে আউট হলেন তিনি। একটি ছক্কা এবং তিনটি চার মারেন রাসেল। কিন্তু কলকাতাকে জেতানোর জন্য তা যথেষ্ট ছিল না।
কলকাতার লক্ষ্য ১৯৯ রান। কিন্তু যে ভাবে রাহানে এবং বেঙ্কটেশ খেলেছেন, তাতে বোঝা কঠিন আদৌ জয়ের জন্য তাঁরা খেলছিলেন কি না। রিঙ্কু এবং রাসেল সবে ব্যাট করতে নেমেছেন। তাঁদের সামনে প্রতি ওভারে ১৫ রানের বেশি করার লক্ষ্য রয়েছে। কিন্তু তাঁরা ওভারে ১০ রানও তুলতে পারছে না।
বার বার ক্রিজ় ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলছিলেন রাহানে। সেটা দেখে বলের লাইন বদলে দেন ওয়াশিংটন। গতিতেও পরিবর্তন করেন। তাতেই আউট রাহানে। তিনি ক্রিজ় ছেড়ে এতটাই বাইরে চলে আসেন যে, স্টাম্প করতে অসুবিধা হয়নি বাটলারের।
৮ ওভারে উঠল মাত্র ৫৩ রান। মন্থর ব্যাটিং করছেন রাহানেরা। ২২ বলে ২৫ রান করেছেন তিনি। ১০ বলে ৫ রান বেঙ্কটেশের। রশিদদের বিরুদ্ধে হাত খুলে খেলতে ব্যর্থ কলকাতা।
এ বারের আইপিএলে উইকেট পাচ্ছেন না রশিদ। তাঁকেই উইকেট দিয়ে গেলেন নারাইন। তাঁর জন্য ফাঁদ পেতেছিল গুজরাত। নারাইনকে পুল করার সুযোগ দিয়েছিলেন রশিদ। কিন্তু বলের গতি কম ছিল। নারাইন ঠিক মতো ব্যাটে লাগাতে পারেননি। বল চলে যায় রাহুল তেওয়াটিয়ার হাতে।
প্রথম ওভারেই আউট গুরবাজ়। সিরাজের বলের লাইন ফস্কালেন তিনি। এলবিডব্লিউ হলেন। একটি রিভিউও নষ্ট করলেন গুরবাজ়।
কলকাতার বিরুদ্ধে ১৯৯ রান তুলল গুজরাত। যদিও এই পিচে ব্যাট করা কঠিন বলেই মনে করছেন সাই সুদর্শন। শুভমনের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে ১১৪ রান তোলেন তিনি। বাটলারও ২৩ বলে ৪১ রান করে দলকে ভরসা দেন। শুভমন ৯০ রান করে আউট হয়ে যান।
২ বল খেলেই আউট রাহুল তেওয়াটিয়া। বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হলেন তিনি।
৯০ রান করেও ফুলটস বলে উইকেট দিলেন শুভমন। বৈভবের বলে গতি ছিল না। সেই ফুলটস বল মারতে গিয়ে রিঙ্কুর হাতে ক্যাচ দিলেন তিনি।
১৩তম ওভারে প্রথম উইকেট পেল কলকাতা। রাসেল বল করতে এসে তুলে নিলেন সুদর্শনকে। ৫২ রান করে আউট হলেন তিনি।
৩৩ বলে অর্ধশতরান সাই সুদর্শনের। গুজরাতের দুই ওপেনার মিলে ১০০ রানের গণ্ডি পার করেছেন। উইকেট ফেলতে না পারলে বড় রান তুলবে গুজরাত।
পুরনো দল কলকাতার বিরুদ্ধে অর্ধশতরান করলেন শুভমন। ৩৪ বলে ৫০ রান করে ফেললেন তিনি।
শুরু থেকেই শর্ট বল করছে কেকেআর। স্পিনারের মাঝ পিচে বল ফেললে যে কোনও ব্যাটারই অনেকটা সময় পেয়ে যায়। মইন, বরুণদের বিরুদ্ধে তাই অনায়াসে খেলছেন শুভমনেরা। এত বেশি শর্ট বল করলে পিচ থেকে কোনও রকম সাহায্য পাওয়াই মুশকিল হবে বরুণদের।
কলকাতার প্রতিটি বোলারের জন্য পরিকল্পনা করেছেন শুভমনেরা। তাঁদের খেলায় সেই ছাপ স্পষ্ট। মইন, বরুণের বলে অনেক সময় নিয়ে শট খেলছেন শুভমন। তাঁদের বল বুঝতে কোনও সমস্যাই হচ্ছে না তাঁর।
পাওয়ার প্লে-তে মইন দু’ওভার বল করেছিলেন। সেখানে দিয়েছিলেন ১০ রান। কিন্তু পাওয়ার প্লে শেষ হতেই হাত খুললেন শুভমন। প্রাক্তন নাইট প্রথম তিন বলে ১৪ রান নিলেন। পরের তিন বলে উঠল আরও তিন রান। মোট ১৭ রান এক ওভারে দিলেন মইন। পাওয়ার প্লে-তে উইকেট না নিতে পারা কেকেআরের জন্য কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করে দিতে পারে। শুভমন এবং সাই সুদর্শন ক্রিজ়ে জমে গেলে বড় রান তোলার ক্ষমতা রাখেন।
গুজরাতের বিরুদ্ধে পাওয়ার প্লে-তে উইকেট তুলতে পারল না কেকেআর। কিন্তু খুব বেশি রানও দেয়নি তারা। কলকাতার হয়ে বৈভব, মইন, হর্ষিত এবং বরুণ মিলে পাওয়ার প্লে-তে বল করলেন। তাঁরা কেউই উইকেট নিতে পারেননি। কিন্তু খুব বেশি রানও দেননি।
ইডেনে বল করতে নেমে প্রথম ওভার করেন বৈভব অরোরা। দ্বিতীয় ওভারেই স্পিনার মইন আলির হাতে বল তুলে দেন রাহানে। প্রথম ওভারে বৈভব মারার জায়গা দেননি। ফলে খুব বেশি রানও হয়নি। সেই চাপ আরও বৃদ্ধি করতে মইনকে আনা হয়েছে।
কলকাতা এবং গুজরাত দলে বদল। কোন কোন ক্রিকেটার দলে এলেন?