রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ছবি: পিটিআই।
৩৩৯/৬-এ শেষ করল ভারত। অশ্বিন ১০২ এবং জাডেজা ৮৬ রানে ক্রিজ়ে রয়েছেন।
৫০ করেই থামেননি অশ্বিন। ঘরের মাঠে শতরান করে ফেললেন। স্মরণীয় করে রাখলেন দিনটা। যে দিন রোহিত, কোহলি, শুভমনের মতো ক্রিকেটারেরা ব্যর্থ হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন, সেই দিনেই অশ্বিনের ব্যাট থেকে পাওয়া গেল মূল্যবান ইনিংস।
৫০ পূরণ করেই তলোয়ার চালানোর পরিচিত ঢংয়ে তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন। অশ্বিনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়ছেন তিনি।
চেন্নাইয়ে নিজের শহরের মাঠে খেলতে নেমেছেন অশ্বিন। সেই মাঠে অর্ধশতরান করলেন তিনি। চাপের মুখে মূল্যবান ইনিংস ভারতীয় স্পিনারের।
পর পর দুটি উইকেট হারালেও অশ্বিন এবং জাডেজা পাল্টা আক্রমণ করছেন। দু’জনেই একটি করে ছয় মেরেছেন। চালিয়ে খেলছেন দুই ক্রিকেটারই।
আউট হয়ে গেলেন রাহুলও। চলতি টেস্টে প্রথম উইকেট পড়ল স্পিনারের বলে। মেহেদি হাসান মিরাজের বলে ১৬ রান করে আউট হলেন রাহুল। ১৪৪ রানে ভারতের ষষ্ঠ উইকেট পড়ল।
অর্ধশতরান করে আউট হয়ে গেলেন যশস্বী। নাহিদ রানার বল তাঁর ব্যাটে লেগে স্লিপের কাছে যায়। ৫৬ রান করেছেন ভারতীয় ওপেনার।
হাসানের বোলিংয়ে ভারতের টপ অর্ডার যেখানে ধসে গিয়েছে, সেখানে লড়াকু ইনিংস খেললেন যশস্বী। অর্ধশতরান করলেন তিনি। ক্রিজ় কামড়ে পড়ে থাকার ফল পেলেন।
বাইরের বলে খোঁচা দেওয়ার রোগ কাটছেই না ভারতীয়দের। রোহিত, কোহলি, শুভমনের পর এ বার পন্থও। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর তৃতীয় ওভারেই হাসানের বলে ফিরলেন তিনি। ৩৯ রান করেছেন।
মধ্যাহ্নভোজের আগে আর উইকেট হারাল না ভারত। ক্রিজ়ে রয়েছেন পন্থ (৩৩) এবং যশস্বী (৩৭)।
তাসকিনের বলে পন্থের খোঁচায় ক্যাচ উঠেছিল। প্রথম স্লিপে ছিলেন শাদমান। তিনি মিস্ করেন। বল চার হয়ে যায়। তবে রিপ্লে-তে দেখা গিয়েছে সেই ক্যাচ দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়ানো ফিল্ডারের পক্ষে নেওয়া সহজ ছিল।
ভারতের তিনটি উইকেট পড়েছে, তিনটিই নিয়েছেন হাসান। বাংলাদেশের পেসারকে খেলতেই পারছেন না ভারতীয় ব্যাটারেরা।
চার মেরে শুরুটা ভাল করেছিলেন। কিন্তু আবারও ব্যর্থ কোহলি। অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে আউট হলেন। ফিরলেন মাত্র ৬ রানে।
এক বার বেঁচে গিয়েছিলেন। দ্বিতীয় বার হল না। হাসান মাহমুদের বলে খোঁচা দিয়ে আউট রোহিত (৬)। ক্যাচ ধরলেন নাজমুল।
হাসানের বল রোহিতের প্যাডে লেগেছিল। কিন্তু আম্পায়ার আউট দেননি। ডিআরএসে ‘আম্পায়ার্স কল’ হওয়ায় বেঁচে যান রোহিত।
বাংলাদেশ পেসারের বল খেলতে সমস্যা হচ্ছে ভারতীয় ওপেনারদের।
শাদমান, জাকির, নাজমুল, মোমিনুল, মুশফিকুর, শাকিব, লিটন, মেহেদি, তাসকিন, হাসান এবং নাহিদ।
রোহিত, যশস্বী, শুভমন, কোহলি, রাহুল, পন্থ, জাডেজা, অশ্বিন, বুমরা, আকাশদীপ এবং সিরাজ।