রমন, লক্ষ্মীর হাতেই এ বারের বাংলা দলের স্টিয়ারিং। ছবি: সিএবি
বাংলা দলের কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল। যিনি দীর্ঘ দিন বাংলার হয়ে খেলেছেন এবং নেতৃত্বও দিয়েছেন। লক্ষ্মী খেলার সময় বাংলার কোচ ছিলেন ডব্লিউভি রমন। যিনি এখন বাংলার ব্যাটিং কোচ। লক্ষ্মী, রমনের হাতেই এ বারের বাংলা দলের স্টিয়ারিং।
লক্ষ্মী এখনও রমনকে ‘কোচ’ বলেই ডাকেন। সাংবাদিক বৈঠকে রমনকে বার বার কোচ বলেই সম্বোধন করলেন বাংলার কোচ। তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে রমন বললেন, “লক্ষ্মী বাংলার ক্রিকেটের জন্য একটা অনুপ্রেরণা। প্রতিপক্ষের কাছেও ও খুব সম্মান পায়। লক্ষ্মীর যখন ১৭ বছর বয়স, আমি সেই সময় থেকে ওকে চিনি। আমাদের সম্পর্ক খুব ভাল। আমার বলতে একটুও দ্বিধা নেই যে, এই মরসুমে বাংলা দলে লক্ষ্মীই আমার বস। ও যে ভাবে কাজ করতে বলবে, সেই ভাবেই করব।”
গত মরসুমে বাংলাকে বার বার ভুগতে হয়েছে ব্যাটিংয়ের জন্য। সেই দিকে আলাদা করে নজর দিতেই আনা হয়েছে রমনকে। তাঁর সময়েই বাংলা বিজয় হজারে ট্রফি জিতেছিল। এক সপ্তাহ বাংলা দলের সঙ্গে ছিলেন রমন। তিনি অতীত নিয়ে ভাবতে রাজি নন। রমন বললেন, “আমি কোনও কাজ শুরু করার আগে পিছন ফিরে তাকাই না। এটাই আমার স্বভাব। আমি সব সময় দেখি আজ কী করা যাবে, কাল কী করব। ব্যাটাররা হয়তো গত বার করোনার কারণে খুব বেশি সময় পায়নি নিজেদের তৈরি করার। গত বার অনেক কম ম্যাচও খেলা হয়েছে। শেষ এক সপ্তাহে আমি দেখেছি এই বাংলা দলে যথেষ্ট প্রতিভা রয়েছে। আশা করি এই মরসুমে বাংলা ভাল খেলবে।”
বাংলা দলের নামিবিয়া সফরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফে সম্মতি না পাওয়ায় সেই সফর বাতিল হয়। লক্ষ্মী বললেন, “রমন স্যরের সঙ্গে আমরা এটা নিয়ে কথা বলেছি। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে আগামী দিনে এই নিয়ে। কোনও কিছু ঠিক হলে জানানো হবে।” লক্ষ্মীর প্রশিক্ষণে বাংলা দলকে দেখা গিয়েছে ইডেনের গ্যালারিতে লরির টায়ার নিয়ে ওঠানামা করতে। শারীরিক শক্তি বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছেন তিনি। লক্ষ্মী বললেন, “দিনের শেষে রোদ্দুরের মধ্যেই খেলতে হবে। তাই জিমে এসির মধ্যে পরিশ্রমের থেকে রোদ্দুরে অনুশীলন করার দিকেই বেশি জোর দিতে চাই। আমার মনে হয় তাতে শারীরিক শক্তি বেশি বাড়ে।”
সাত দিন দলের সঙ্গে থেকে ব্যাটারদের নেটে অনুশীলন করিয়েছেন রমন। ব্যাটারদের টেকনিকে উন্নতি করানোর দিকে নজর দিয়েছেন তিনি। রমন বললেন, “আমার কাজ মাঠে নামার আগে পর্যন্ত। আমি চেষ্টা করব গোটা মরসুমের জন্য ওদের তৈরি করে দিতে। সেই সঙ্গে নজর রাখব প্রতিটি ক্রিকেটার কেমন খেলছে, কোথায় উন্নতি প্রয়োজন। সেই ক্রিকেটার কী চাইছে সেটাও দেখব। অন্যদের থেকে এক জন ক্রিকেটারই নিজেকে সব থেকে ভাল বুঝতে পারে।”
মঙ্গলবার শহর ছাড়লেন রমন। ফের কবে তিনি বাংলা দলে যোগ দেবেন তা এখনও নিশ্চিত নয়।