শ্রেয়স আয়ার। —ফাইল চিত্র।
ব্যর্থতা অব্যাহত শ্রেয়স আয়ারের। রঞ্জি ট্রফি ফাইনালের প্রথম ইনিংসে বিদর্ভের বিরুদ্ধেও রান পেলেন না কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক। খাটো লেংথের (শর্ট বল) বলের বিরুদ্ধে তাঁর দুর্বলতা আরও এক বার প্রমাণ হয়ে গেল ওয়াংখেড়ের ২২ গজে।
জাতীয় নির্বাচকদের নির্দেশ মেনে রঞ্জি ট্রফি খেলেননি। অবাধ্যতার কারণে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন শ্রেয়স। তার পর কিছুটা বাধ্য হয়ে মুম্বইয়ের হয়ে রঞ্জি ট্রফি খেলার কথা জানান তিনি। তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে করেছিলেন ৩ রান। ফাইনালের প্রথম ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে এল ৭ রান। তাঁর ১৫ বলের ইনিংসে রয়েছে ১টি চার। উমেশ যাদবের খাটো লেংথের বলে করুণ নায়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেন তিনি। অর্থাৎ, এই ম্যাচেও তাঁর ক্রিকেটীয় দক্ষতার উন্নতি দেখা গেল না।
খারাপ ফর্মের জন্য ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের পর ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন শ্রেয়স। বাদ পড়ার পর চোটের কথা বলে রঞ্জি ট্রফি খেলেননি। অথচ যোগ দিয়েছিলেন মুম্বইয়ে কেকেআরের প্রাক্মরসুম প্রস্তুতি শিবিরে। তার পর বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মেডিক্যাল স্টাফেরা জানিয়ে দেন, শ্রেয়সের কোনও চোট নেই। তাতে বিসিসিআই কর্তারা শ্রেয়সের উপর আরও ক্ষুব্ধ হন। বাদ দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে।
বোর্ডের শাস্তির পাওয়ার পরেও ফর্ম ফিরে পেলেন না শ্রেয়স। আগামী ২২ মার্চ থেকে শুরু হবে আইপিএল। এ বারের প্রতিযোগিতায় শ্রেয়স আবার নেতৃত্ব দেবেন কেকেআরকে। প্রতিযোগিতার ১২ দিন আগে তাঁর ফর্ম উদ্বেগে রাখবে আইপিএলের কলকাতা ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির কর্তৃপক্ষকেও।