দীপ্তি, অশ্বিনকে খোঁচা দিলেন বাটলার। ফাইল ছবি
চার্লি ডিনকে মাঁকড়ীয় পদ্ধতিতে দীপ্তি শর্মা রান আউট করার পর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। সেই বিতর্কে আরও ইন্ধন জোগালেন ইংল্যান্ডের সীমিত ওভারের দলের অধিনায়ক, যিনি নিজেই দু’বার মাঁকড়ীয় রান আউট হয়েছেন। বাটলার সাফ জানিয়েছেন, বিশ্বকাপের ফাইনালে তাঁর কোনও সতীর্থ মাঁকড়ীয় রান আউট করলে তিনি বিপক্ষ ব্যাটারকে ডেকে নেবেন এবং আম্পায়ারকে অনুরোধ করবেন রান আউট না দেওয়ার জন্য। নাম না করেই দীপ্তি এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে খোঁচা দিলেন বাটলার।
২০১৯-এর আইপিএলে বাটলারকে মাঁকড়ীয় আউট করেছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সেই সময়ে ওই ঘটনা নিয়ে প্রবল বিতর্ক হয়। তার আগে শ্রীলঙ্কার এক বোলারও বাটলারকে একই ভাবে আউট করেন। তা সত্ত্বেও বাটলারের ক্রিজ ছেড়ে বেরোনোর প্রবণতা কমেনি। এ বার খোলাখুলি ভাবে তিনি বিরোধিতা করলেন অশ্বিন এবং দীপ্তির কাজকে। মাঁকড়ীয় আউটকে আইসিসি এবং এমসিসি বৈধতা দেওয়া সত্ত্বেও।
বাটলারের মতে, ম্যাচের মাঝে অহেতুক বিতর্ক তাঁরা তৈরি করতে চান না। এক পডকাস্টে বাটলার বলেছেন, “বিশ্বকাপের ফাইনালে এমন ঘটনা ঘটলে আমি ব্যাটারকে ফিরিয়ে আনব। ক্রিকেটে কেউ ও ভাবে আউট দেখতে পছন্দ করেন না। যখনই হোক, ওই ঘটনা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হবেই। ব্যাট এবং বলের যুদ্ধই আলোচনার বিষয় হওয়া উচিত।”
যদিও বাটলারের কথায় বিতর্ক হতেই পারে। আইসিসি এবং এমসিসি এই ধরনের আউটকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ফলে কোনও ম্যাচে এ ধরনের ঘটনার পর যদি আম্পায়ার আউট দেন, সে ক্ষেত্রে আম্পায়ারকে অনুরোধ করে সিদ্ধান্ত বদলে ফেলে ব্যাটারকে ফেরানোর ক্ষমতা বাটলারের রয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।
বাটলারের বদলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে যিনি ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সেই মইন আলির মতও একই রকম। বলেছেন, “আমি মোটেই এই ধরনের আউট সমর্থন করি না। মনে হয় না কোনও দিন এই কাজ করব। যদি না কারও উপর রাগ থাকে। জানি এই আউটের আইনি স্বীকৃতি রয়েছে। ফলে প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই এ ভাবে আউট করার অধিকার রয়েছে। তবে এটা যেন বার বার না ঘটে।”