—ফাইল চিত্র
হ্যান্সি ক্রোনিয়ে অপরাধী। ২০০০ সালে এক ভারতীয় বুকির সঙ্গে ম্যাচ গড়াপেটা করেন বলে জানা যায়। ক্রিকেট থেকে সারা জীবনের মতো নির্বাসিত করা হয় তাঁকে। ক্রোনিয়ে সেই অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। কিন্তু তা নাকচ করে দেওয়া হয়। এর পর ক্রোনিয়ের অবস্থা কী হয়েছিল তা জানিয়েছেন জন্টি রোডস।
রোডস সেই সময় দক্ষিণ আফ্রিকা দলের ক্রিকেটার। ক্রোনিয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কও ভাল ছিল। তিনি বলেন, “আমাদের সকলের কাছেই ম্যাচ গড়াপেটার পুরো বিষয়টাই খুব আকস্মিক ছিল। কী হয়েছিল আমরা বুঝিনি। খুব কঠিন ছিল ব্যাপারটা। ওই ঘটনার পর আমি ক্রোনিয়ের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটাই। ওকে যখন নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে, আমি অবসর নিয়েছি টেস্ট ক্রিকেট থেকে, সেই সময় ক্রোনিয়ে আমাকে বলেছিল অবসর না নিতে। বলেছিল আমার কাছে সুযোগ রয়েছে খেলার, আরও কয়েকটা ম্যাচ খেলতে বলেছিল আমাকে। খেলতে না পারার কষ্ট ছিল ওর মধ্যে। আরও অনেক ক্রিকেটার ছিল যাদের বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ উঠেছে। তারা এমন ভাবে ঘুরে বেড়াত যেন কিছুই হয়নি। ক্রোনিয়ে লজ্জা পেত। ও যে কাজটা করেছিল সেটা নিয়ে ও লজ্জিত ছিল।”
ক্রোনিয়ে বাড়ি থেকেও বেরোতেন না বলে জানিয়েছেন রোডস। তিনি বলেন, “প্রথম কয়েক মাসে ওজন বেড়ে যায় ক্রোনিয়ের। ঘরের মধ্যে নিজেকে বন্ধ করে রেখেছিল ও। কয়েক জন বন্ধু হয়তো ওর সঙ্গে দেখা করতে বাড়ি যেত, ও কখনও বেরোত না। প্রায় এক বছর ওর মনের মধ্যে পুরো ঘটনাটা কুরে কুরে খেত। এর পর একটি সংস্থায় কাজ নেয় ক্রোনিয়ে। ধীরে ধীরে জীবন ফিরে পাচ্ছিল ও।”
মাত্র ৩২ বছর বয়সে একটি বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান ক্রোনিয়ে। ২০০২ সালে সেই ঘটনার এক সপ্তাহ আগে রোডসের সঙ্গে কথা হয় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়কের। রোডস বলেন, “ক্রোনিয়ের সঙ্গে যখন ফোনে কথা হত, ও বলত যে ভাল আছে। কিন্তু আমি সেটা অনুভব করতাম না। এক দিন আমি ওকে ফোন করি। সে দিন ক্রোনিয়ে বলেছিল যে, ওর মনে হচ্ছে এ বার এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে। এক সপ্তাহ পর ও সত্যিই এগিয়ে গেল।”
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।