শনিবার খেলার শুরুর আগে ঝুলনকে জড়িয়ে ধরেছেন হরমনপ্রীত। ছবি: রয়টার্স
ভারতের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন ঝুলন গোস্বামী। দু’দশকের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সফর শেষ হল বাংলার জোরে বোলারের। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের শেষ ম্যাচের আগে আবেগপ্রবণ তাঁর সতীর্থরা।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগের দিন আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন স্মৃতি মন্ধানা। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ঝুলনকে ছাড়া ভারতীয় দল কতটা ভয়ঙ্কর? উত্তর দিতে গিয়ে গলা ধরে এসেছিল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের সহ-অধিনায়কের। তিনি বলেছিলেন, ভারতীয় দলের জার্সিতে ঝুলনকে যে আর দেখতে পাবেন না, এটা ভাবলেই তাঁর চোখের কোণ ভিজে যায়।
মন্ধানা বলেছিলেন, ‘‘ভারতীয় দলের হয়ে ঝুলুদিকে (ঝুলন) আর খেলতে দেখব না, ভেবেই খুব খারাপ লাগছে। ওয়ান ডে সিরিজ়েই ওঁর সঙ্গে শেষ বারের মতো দেশের জার্সিতে নামব। যা ভাবলেই আবেগপ্রবণ হয়ে যাচ্ছি।’’ আরও বলেছিলেন, ‘‘মহিলা ক্রিকেটের উত্থানের নেপথ্যে ঝুলুদির অবদান অনস্কীকার্য। ওর অভাব কখনও পূরণ করা সম্ভব নয়। ঝুলুদির অবসরের কথা ভাবলেই বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ি।’’
ঝুলনের জন্য ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ স্মরণীয় করে রাখতে চেয়েছিলেন মন্ধানা। বলেছিলেন, ‘‘এই সিরিজটা ঝুলুদির জন্য। এই সিরিজে আমরা যা খেলব, সব ঝুলুদির জন্য। প্রথম ম্যাচে ঝুলুদি দুর্দান্ত বল করেছে। ওর জন্য এই সিরিজ স্মরণীয় করে রাখতে চাই। যতটা সম্ভব, চেষ্টা করব ওয়ান ডে সিরিজ বিশেষ ভাবে স্মরণীয় করে তোলার। ঝুলুদির শেষ সফর আমরা স্মরণীয় করে তুলতে চাই। তার জন্য যা যা প্রয়োজন করতে রাজি।’’
ঝুলনকে নিয়ে আবেগপ্রবণ অধিনায়ক হরমনপ্রীত কউরও। তিনি বলেছিলেন, ‘‘ভারতের হয়ে আমার অভিষেকের সময় অধিনায়ক ছিল ঝুলন। ওর শেষ এক দিনের ম্যাচের সময় আমি অধিনায়ক। এটা আমার সৌভাগ্য। শেষ সিরিজটা ঝুলন যাতে স্মরণীয় করে রাখতে পারে, সে জন্য আমরা সব রকম চেষ্টা করব।’’
এই বয়সেও ঝুলনের পরিশ্রম করার ক্ষমতা বিস্মিত করে হরমনকে। এ নিয়ে বলেন, ‘‘টানা দু’তিন ঘণ্টা বোলিং করতে পারে এখনও! আমাদের কাছে ঝুলনদি এক দুর্দান্ত উদাহরণ। ওর সঙ্গে একই দলে খেলতে পারা দারুণ অভিজ্ঞতা। প্রতিটা ম্যাচের আগে নিজেকে যে ভাবে প্রস্তুত করে, তা শেখার মতো। আমি ভাগ্যবান যে ওকে এত কাছ থেকে দেখার এবং ওর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। ওর কাছে অনেক কিছু শিখেছি। সেগুলো সারা জীবন মনে থাকবে।’’