প্রতিদ্বন্দ্বী: দুই পেসারের পরীক্ষা। বুমরা (বাঁ-দিকে) ও শাহিন। ফাইল চিত্র।
রবিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ। যে ম্যাচে প্রাক্তন পাক অধিনায়ক সেলিম মালিক এগিয়ে রেখেছেন বিরাট কোহালিদের। এ বার যশপ্রীত বুমরার প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রাক্তন বাঁ-হাতি পাক জোরে বোলার মহম্মদ আমির। তাঁর মতে, টি-টোয়েন্টিতে বুমরাই বিশ্বসেরা পেসার। আমির যখন বুমরাকে নিয়েৃ উচ্ছ্বসিত, তখন আর এক প্রাক্তন পাক পেসার শোয়েব আখতারের মুখে শোনা গিয়েছে গোটা ভারতীয় দলেরই প্রশংসা। বিশেষ করে বিরাট কোহালি এবং রোহিত শর্মার।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আমির বলেছেন, ‘‘এখনই বুমরার সঙ্গে শাহিন শা আফ্রিদির তুলনা বোকামি। শাহিনের বয়স কম। অনেক কিছু শিখছে। বুমরা সেখানে বেশ কয়েক বছর ধরে ভারতীয় বোলিং আক্রমণের মূল স্তম্ভ। ও-ই টি-টোয়েন্টিতে এখন বিশ্বসেরা পেসার। বিশেষ করে শেষের দিকের ওভারগুলোতে।’’ যোগ করেছেন, ‘‘এটাও সত্যি, শাহিনই এই মুহূর্তে আমাদের সেরা জোরে বোলার। গত দেড় বছরে ওর বোলিং দেখে সেটাই মনে হয়েছে। তাই রবিবার বুমরা বনাম শাহিনের লড়াইয়ের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। নতুন বলে বুমরা অসাধারণ। কিন্তু তরুণদের মধ্যে শাহিনও উঠে এসেছে। নতুন বলটাও ভাল করছে।’’
বুমরাকে সেরা বললেও আমির মনে করেন, ভারতের থেকে পাকিস্তানের পেস আক্রমণ বেশি ধারালো, ‘‘ফাস্ট বোলিংয়ে এগিয়ে পাকিস্তানই। হাসান আলি আর শাহিন দারুণ ছন্দে আছে। কম যাচ্ছে না হ্যারিস রউফও। শেষের দিকের ওভারে পাকিস্তানের বোলাররাই সেরা। ভারতের ভুবনেশ্বর কুমার আইপিএলে ছন্দে ছিল না। বিরাট কোহালিদের একমাত্র ভরসা বুমরা।’’
মহম্মদ শামি প্রসঙ্গে আমিরের বিশ্লেষণ, ‘‘শামি ভাল পেসার, তবে নতুন বলে। আমি অবশ্য ডেথ ওভারে ও কতটা কার্যকরী, তেমন ভাল জানি না। কিন্তু এটা জানি, ভারতে বুমরাই ‘পরিপূর্ণ’ পেসার। অবশ্য স্পিন বিভাগে ভারতকেই এগিয়ে রাখব। আইপিএলে আর. অশ্বিন, রবীন্দ্র জাডেজা এবং সিভি বরুণ বেশ ভাল বোলিং করেছে।’’
এ দিকে, এক ভারতীয় চ্যানেলকে শোয়েব বলেছেন, ‘‘পাকিস্তানে এমন কেউ নেই যে বলবে, ভারত ভাল দল নয়। সেটা সবাই খোলাখুলি স্বীকার করে। পাকিস্তানের মানুষ মনে করে, কোহালি উঁচু মানের ক্রিকেটার। তবে ওকে ছাপিয়ে গিয়েছে নাকি রোহিত শর্মা।’’ যোগ করেছেন, ‘‘এখন পাকিস্তানে সবাই রোহিতের সঙ্গে তুলনা করছে ইনজ়ামাম-উল-হকের। সঙ্গে ঋষভ পন্থ আর সুর্যকুমার যাদবকে নিয়েও যথেষ্ট আগ্রহী। অস্ট্রেলিয়ায় পন্থের ব্যাটিং দেখে সবাই মুগ্ধ। ঘটনা হচ্ছে, এখনকার ভারতীয় দলকে পাকিস্তানে সবাই সমীহ করে।’’
শোয়েব মনে করেন, ভারতে তিনি নিজেও কম জনপ্রিয় ছিলেন না, ‘‘ভিডিয়ো দেখলেই বুঝবেন, আমাকে ভারতীয়রা ঘৃণা করত না। তাই ভারত-পাক দ্বৈরথ নিয়ে আমাকে নিরপেক্ষ মতামত দিতে হয়। ভুলবেন না আমি প্রাক্তন ক্রিকেটার। একই সঙ্গে একজন ‘রাষ্ট্রদূত’ এবং রক্তমাংসের মানুষ।’’ খানিকটা অভিমানের সুরে তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘লোকে বলে অর্থ উপার্জন করতেই নাকি নানা কথা বলি। যা আদৌ সত্যি নয়। ভারতে আমার প্রচুর ভক্ত রয়েছেন। একজন পাকিস্তানী হয়েও আমি সত্যিই ভাগ্যবান। অনেক ভারতীয় আমাকে ভালবাসে। তাঁদের আবেগকে আঘাত করি না।’’