ফাইল চিত্র।
ওয়ান্ডারার্স ক্রিকেট মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ডিন এলগার দলকে দুরন্ত জয় এনে দিয়ে তিন টেস্টের সিরিজ়ে সমতা ফেরাল। আমি এবং আমার মতো অনেকেই ভাবতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটিংয়ের পক্ষে ভারতীয় দলের দেওয়া লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব হবে। বিশেষ করে চতুর্থ ইনিংসে।
একটা রোলার, তার যা-ই ওজন হোক না কেন, সাড়ে সাত মিনিট চললে তাতে সাধারণত পিচের চরিত্রের বিরাট কিছু পরিবর্তন হয় না। দক্ষিণ আফ্রিকা রান তাড়া করার সময় অবশ্য দু’বার এর সুবিধা পেয়েছে। গোটা ম্যাচে একটা বিষয় দেখা গিয়েছে, রোলার ব্যবহার করার পরে আধ ঘণ্টা পিচ ভালই ছিল। কিন্তু এর পরেই পিচের কিছু জায়গায় বল ফেললে বাউন্স বোঝা সমস্যার হয়ে যাচ্ছিল। এখানেই দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়কের মানসিক দৃঢ়তা এবং পরিকল্পনার প্রয়োগ দেখা গেল। যা দলের বাকি ব্যাটারদেরও প্রেরণা দিয়েছে। রান তাড়া করতে গিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার মাত্র তিন উইকেট পড়েছে। এতে অবশ্য ভারতীয় দল যে রকম বোলিং করেছে, সেটা ঠিক ভাবে ফুটে উঠছে না।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারেরা দারুণ লড়াই করেছে এবং অধিনায়ক এলগার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। নিশ্চিত ভাবে অনেক বলের আঘাত সহ্য করতে হয়েছে এলগারকে। তবে দলের জন্য এই আঘাতের ক্ষতগুলো নিশ্চয়ই ওর কাছে গর্বের ব্যাপার।
মেঘলা পরিবেশে আশা করা গিয়েছিল ভারতীয় বোলাররাই দাপট দেখাবে। কিন্তু বোলারদের গতিময় বল কখনও নিচু হয়ে বা কখনও লাফিয়ে ব্যাটারদের সামলানোর মধ্যেও এমন কতগুলো ওভারও হয়েছে, যেখানে এক ডজন বা তারও বেশি রান হয়েছে। এই ওভারগুলো ব্যাটারদের কাছে অক্সিজেনের মতো। এর পরে ব্যাটাররা আবার গার্ড নিয়ে দলের জন্য, দেশের জন্য বোলারদের বলের আঘাত সামলাতে তৈরি হয়েছে।
যথারীতি হারের পরে কারও ঘাড়ে দোষ চাপানোর ব্যাপারটা হয়তো শুরু হয়ে যাবে। তবে ঘটনা হল, এই পিচে বোলারদের জন্য সব সময়ই সুযোগ এসে যেতে পারে। এই রকম পরিস্থিতিতে ব্যাটারদের চাই কিছুটা ভাগ্যের সঙ্গ এবং অবশ্যই ধৈর্য। যেটা দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা দেখিয়েছে রান তাড়া করতে নেমে। ভারতীয় দল সর্বস্ব উজাড় করে দিয়েছে। কিন্তু দিনটা ভারতীয় দলের ছিল না। এটাই সহজ-সরল কথা। (টিসিএম)