সব নজির ভেঙে দিলেন কারেন। ফাইল ছবি
আইপিএলের ‘মিনি’ নিলাম ‘মেগা’ করে দিলেন স্যাম কারেন। প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দাম পেলেন তিনি। শুক্রবার তাঁকে পঞ্জাব কিংস কিনল ১৮.৫০ কোটি টাকায়। এর আগের রেকর্ড ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বোলার ক্রিস মরিসের। তাঁকে গত বছরের নিলামে ১৬.২৫ কোটি টাকায় কিনেছিল রাজস্থান রয়্যালস। কারেনের নজিরও কয়েক মুহূর্তের মধ্যে ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিনকে নিয়ে ব্যাপক কাড়াকাড়ি হয়। কিন্তু সাড়ে ১৭ কোটিতে তাঁকে কিনে ফেলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
এ বছরের শুরুতে যে মেগা নিলাম হয়েছিল, সেখানে এত দাম দিয়ে কোনও ক্রিকেটারকে কেনার সাহস দেখাননি ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা। তখন তাদের মূল লক্ষ্য ছিল দল গুছিয়ে নেওয়া। কিন্তু মাঝের এই নিলামে দলগুলি নিজেদের আরও শক্তিশালী করতে মরিয়া। অনেকের হাতে প্রচুর টাকাও রয়েছে। তাই জন্যেই বেশি টাকা দিকে কার্পণ্য করছেন না কেউই।
এ দিন কারেনকে নিয়ে পঞ্জাব এবং মুম্বইয়ের মধ্যে ব্যাপক লড়াই হয়। মাঝে এক বার ঢুকে পড়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালসও। কিন্তু তারা বেশি দূর এগোতে পারেনি হাতে বেশি টাকা না থাকায়। তবে পঞ্জাব নিজেদের উজাড় করে দিয়ে মরিয়া হয়ে ঝাঁপায় এবং শেষ পর্যন্ত নেস ওয়াদিয়ার দল তুলে নেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটারকে।
মরিসকে ১৬.২৫ কোটি টাকায় কেনা হলেও রাজস্থানের হয়ে খুব একটা ভাল খেলতে পারেননি তিনি। ১১টি ম্যাচে ১৫টি উইকেট নিলেও, ব্যাট হাতে মাত্র ৬৭ রান করেন তিনি। মরিসের আগে ১৬ কোটি টাকা পেয়েছিলেন যুবরাজ সিংহ। তাঁকে ২০১৫-র আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালস কেনে ওই দামে। তার আগের মরসুমে ব্যাঙ্গালোর তাঁকে কিনেছিল ১৪ কোটিতে। কিন্তু দিল্লির হয়ে খুব ভাল খেলতে পারেননি যুবরাজও। ১৪টি ম্যাচে মাত্র ২৪৮ রান করেন এবং একটি উইকেট নেন।
২০২০-এর নিলামে প্যাট কামিন্সকে ১৫.৫ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছিল কলকাতা। ১২টি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ঝোড়ো ইনিংস খেলে বেশ কিছু রানও করে দেন কামিন্স। তবে ২০২২-এর নিলামে তাঁকে কলকাতা ছেড়ে দেয়। ৭.২৫ কোটি টাকায় তারাই আবার কিনে নেয়।
এ বছরের শুরুতে নিলামে সবচেয়ে বেশি দাম উঠেছিল ঈশান কিশনের। ১৫.২৫ কোটি টাকায় তাঁকে কেনে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তবে আগের মরসুমে যেমন খেলেছিলেন, তা ধরে রাখতে পারেননি। ১৪টি ম্যাচে ৪১৮ রান করেন। ২০২০-র আইপিএলে ১৪টি ম্যাচে ৫১৬ রান করেছিলেন কিশন।