জোড়া বিশ্বরেকর্ডের মালিক জগদীশনকে দলে নিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ছবি: টুইটার।
আইপিএলের সব থেকে কম পুঁজি নিয়েও বিশ্বরেকর্ডের মালিককে ছিনিয়ে নিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তামিলনাড়ুর উইকেটরক্ষক-ব্যাটার নারায়ণ জগদীশনকে ৯০ লাখ টাকায় দলে নিল কেকেআর। চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে লড়াই করে জগদীশনকে ঘরে তুলল কলকাতা।
চলতি মরসুমে দারুণ ছন্দে রয়েছেন আইপিএলে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দলের প্রাক্তন সদস্য। কিছু দিন আগে ভারতের ঘরোয়া এক দিনের ক্রিকেট প্রতিযোগিতা বিজয় হজারে ট্রফিতে ২৭৭ রান করেছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে বিশ্বের যাবতীয় এক দিনের ম্যাচে (ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক) এক ইনিংসে এত রান আর কারও নেই। অরুণাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে সেই ইনিংসে মাত্র ১৪১ বলে ২৭৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন জগদীশন। মেরেছিলেন ২৫টি চার ও ১৫টি ছক্কা। এ ছাড়াও চলতি মরসুমে পর পর পাঁচটি লিস্ট এ (৫০ ওভারের) ম্যাচে শতরান করার নজির গড়েছেন জগদীশন। বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে এই নজির গড়েছেন তিনি।
আইপিএলে খুব বেশি খেলার সুযোগ পাননি জগদীশন। ২০১৮ সালের নিলামে তাঁকে চেন্নাই দলে নিলেও প্রথম ম্যাচ খেলার সুযোগ পান ২০২০ সালে। ২০২২ সালের নিলামেও তাঁকে নিয়েছিল চেন্নাই। শুক্রবারের নিলামে জগদীশনের ন্যূনতম দাম ছিল ২০ লাখ টাকা। তাঁকে ধরে রাখতে আগ্রহী ছিল চেন্নাইও। নিলামে কলকাতার সঙ্গে লড়াই হয় তাদের। শেষ পর্যন্ত ৯০ লাখ টাকায় ২৬ বছরের উইকেটরক্ষক-ব্যাটারকে দলে নিল কলকাতা।
আইপিএলে তেমন খেলার সুযোগ না হলেও তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগে পরিচিত মুখ জগদীশন। ২০১৬-১৭ মরসুমে তামিলনাড়ুর হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচেই সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। একই মরসুমে রাজ্য দলের হয়ে ৫০ ওভারের ক্রিকেট এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও অভিষেক হয়েছিল জগদীশনের। ২০২১ সালে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় তিনিই ছিলেন তামিলনাড়ুর সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। আটটি ম্যাচ খেলে করেছিলেন ৩৬৪ রান।
তিন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার স্যাম বিলিংস, শেলডন জ্যাকসন এবং বাবা অপরাজিতকে এ বার ছেড়ে দিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তাঁদের অভাব পূরণ করতে নিলামের আগে ট্রেডিংয়ের সময় নেওয়া হয়েছিল আফগানিস্তানের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার রহমানুল্লাহ গুরবাজ়কে। নিলাম থেকে নেওয়া হল জগদীশনকে। এ ছাড়াও ৬০ লাখ টাকায় কেকেআর দলে নিয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের বোলার বৈভব আরোরাকে।