মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ফাইল ছবি
মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে হয়তো ছাড়ছে না চেন্নাই সুপার কিংস। আগামী তিনটি আইপিএল মরসুমের জন্য ভারতের প্রাক্তন এই অধিনায়ককে ধরে রাখতে পারে তারা। ফলে ধোনিকে আগামিদিনে চিরপরিচিত হলুদ জার্সিতেই হয়তো দেখা যাবে। দিল্লি ক্যাপিটালসও ঋষভ পন্থকে ধরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম বুধবার এমন খবরই প্রকাশ করেছে।
ধোনি ছাড়াও রবীন্দ্র জাডেজা এবং ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড়কে ধরে রাখতে পারে চেন্নাই। চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে মইন আলির সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছে তারা। মইন রাজি না হলে ইংরেজ অলরাউন্ডার স্যাম কারেনকে ধরে রাখতে পারে তারা। তবে এই প্রথম বার সুরেশ রায়নাকে হয়তো ছেড়ে দিতে চলেছে চেন্নাই। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে আইপিএল দলগুলিকে নিজেদের ধরে রাখা ক্রিকেটারদের তালিকা জমা দিতে হবে। মোট চারজন ক্রিকেটারকে ধরে রাখা যাবে।
কিছুদিন আগেই ধোনি জানিয়েছিলেন, চেন্নাইয়ের মাটিতেই তিনি শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে চান। বলেছিলেন, “বরাবর নিজের ক্রিকেটজীবন নিয়ে পরিকল্পনা করেছি। শেষ একদিনের ম্যাচ খেলেছি রাঁচীতে। আশা করি শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ চেন্নাইয়ে খেলতে পারব। আগামী বছর না পাঁচ বছর পরে সেটা কেউ জানে না।”
পন্থের পাশাপাশি অলরাউন্ডার অক্ষর পটেল, পৃথ্বী শ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার অনরিখ নোখিয়াকে ধরে রাখতে পারে দিল্লি। শ্রেয়স আয়ার দলের কাছে অনুরোধ করেছিলেন তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। সেই আবেদন শোনা হয়েছে। কারণ আগামি দিনের নেতা হিসেবে পন্থেই আস্থা রাখছেন দিল্লির মালিকরা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স নিশ্চিত ভাবেই ধরে রাখতে চলেছে রোহিত শর্মা এবং যশপ্রীত বুমরাকে। তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে কায়রন পোলার্ডের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সূর্যকুমার যাদবকে নিলাম থেকে কেনার ভাবনা চলছে। পাশাপাশি, ঈশান কিশনকেও ধরে রাখতে পারে মুম্বই।
ভারতীয় ওপেনার কেএল রাহুল পঞ্জাব কিংসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। তিনি কলকাতার শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েঙ্কার মালিকানাধীন দল লখনউয়ে যোগ দিতে পারেন। লখনউয়ের নেতাও বানানো হতে পারে তাঁকে। দু’টি নতুন দল অবশ্য ইতিমধ্যেই কিছু শীর্ষস্থানীয় ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলছে। রাহুলকে সে ভাবেই প্রায় রাজি করিয়ে ফেলেছেন গোয়েঙ্কা।