Gautam Gambhir

গম্ভীরের সহকারীদের উপর আস্থা নেই, জাতীয় দলে নতুন সাপোর্ট স্টাফ নিয়োগের পথে বোর্ড

কোচ হয়ে আসার পর গৌতম গম্ভীর নিজেই বেছে নিয়েছিলেন সাপোর্ট স্টাফেদের। ছ’-সাত মাস পরেও প্রত্যাশিত সাফল্য পাওয়া যায়নি। তাই এ বার সাপোর্ট স্টাফদের দল বাড়তে চলেছে। কী বদল আসবে সেখানে?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:৪৬
Share:

গৌতম গম্ভীর। — ফাইল চিত্র।

কোচ হয়ে আসার পর গৌতম গম্ভীর নিজেই বেছে নিয়েছিলেন সাপোর্ট স্টাফেদের। কিন্তু ছ’-সাত মাস পরেও প্রত্যাশিত সাফল্য পাওয়া যায়নি। তাই এ বার সাপোর্ট স্টাফদের দল বাড়তে চলেছে। যাঁরা রয়েছেন তাঁদের পাশাপাশি নতুন কয়েক জনকে যুক্ত করা হতে পারে। গম্ভীরের পছন্দের নয়, তাঁদের নিয়োগ করবে সরাসরি বোর্ডই।

Advertisement

কেকেআরে যাঁদের নিয়ে ট্রফি জিতেছিলেন, সেই সাপোর্ট স্টাফদের সবাইকে ভারতীয় দলে নিয়ে গিয়েছিলেন গম্ভীর। অভিষেক নায়ার (সহকারী ও ব্যাটিং কোচ) এবং রায়ান টেন দুশখাতেকে (সহকারী কোচ) নিয়েছিলেন। লখনউয়ে মর্নি মর্কেলের (বোলিং কোচ) সঙ্গে কাজ করেছিলেন গম্ভীর। আগের সাপোর্ট স্টাফদের মধ্যে থেকে গিয়েছেন শুধু ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ।

সেই দলেই নতুন মুখ যোগ করতে চাইছে বোর্ড। এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে সাফল্য পাওয়া বড় নামেদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। কোচিং দলকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা চলছে।

Advertisement

অস্ট্রেলিয়ার কাছে সিরিজ় হারের পর গোটা কোচিং স্টাফই সমালোচনার মুখে। বিশেষ করে অভিষেক। বিরাট কোহলি বার বার একই ভাবে আউট হওয়ার পরেও কেন তাঁকে সতর্ক করে দেননি সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

গত ১১ জানুয়ারি মুম্বইয়ে বোর্ডের বৈঠকে সাপোর্ট স্টাফদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়। এখনই সবাইকে বদলে দেওয়ার ভাবনাচিন্তা নেই। তবে অন্য কাউকে এনে একটা ভিন্ন মতামত নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

বুধবার জানা গিয়েছিল, দলের সাপোর্ট স্টাফেরা কেমন কাজ করছেন সে ব্যাপারে সিনিয়র ক্রিকেটারদের মতামত চেয়েছে বোর্ড। বোর্ডের এক সূত্র দাবি করেছিলেন, “অভিষেক নায়ার সবচেয়ে কড়া নজরে রয়েছেন। বোর্ড ক্রিকেটারদের জিজ্ঞাসা করেছে যে, নায়ারের পরিকল্পনায় আলাদা কোনও বিষয় রয়েছে কি না। একই ভাবে রায়ান টেন দুশখাতের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার অভাব এবং ভাল মানের ক্রিকেটারদের উন্নতিতে অবদান রাখতে না পারার কারণে ওকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে।” কিছু সাপোর্ট স্টাফের চুক্তির মেয়াদ কমিয়ে দু’-তিন বছর করা হতে পারে। কারণ বোর্ডের ধারণা, তাঁরা দীর্ঘ দিন থাকলেও দলের কোনও লাভ হয়নি।

উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়া সফরের পর কোচেদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সুনীল গাওস্কর। বলেছিলেন, “কোচেরা কী করছে? নিউ জ়িল্যান্ডের কাছে আমরা ৪৬ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিলাম। তখনই বোঝা গিয়েছিল দলের ব্যাটারদের কী অবস্থা। তা হলে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়ের আগে কোচেরা কী করল। কেন কোনও উন্নতি হল না? এই প্রশ্ন কোচদের কেন করা হবে না। কোচদের পারফরম্যান্সেরও বিচার করতে হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement