তিতাস সাধু। —ফাইল চিত্র।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪ উইকেট নিয়েও বিপদে পড়লেন তিতাস সাধু। টেস্ট এবং এক দিনের সিরিজ়ে সুযোগ পাননি বাংলার পেসার। টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ পেয়ে প্রথম ম্যাচেই তুলে নিলেন ৪ উইকেট। জানালেন এ বার তাঁর অনেক খরচ হবে।
ভারতের মেয়েদের দলে ম্যাচের সেরা হলে দলকে খাওয়াতে হয়। সে কথাই জানালেন তিতাস। ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে বলেন, “আমাদের দলে এখন একটা নিয়ম হয়েছে। যে ম্যাচের সেরা হবে, সে বাকিদের খাওয়াবে। আমি তৃতীয় বার ম্যাচের সেরা হলাম। তাই আমার তরফে তিন দিন খাওয়ানো বাকি রয়েছে।”
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আগের দু’টি সিরিজ়ে প্রথম একাদশে সুযোগ পাননি তিতাস। শুক্রবার দ্বিতীয় ওভারে ২ উইকেট নেন তিনি। তিতাস বলেন, “অনেক দিন বসেছিলাম। এ দিন সুযোগ কাজে লাগাতে পেরে ভাল লাগছে। ম্যাচের সময় শিশির পড়ছিল। সেটাও সাহায্য করেছে।”
অস্ট্রেলিয়া প্রথমে ব্যাট করে ১৪১ রান করে। জবাবে ১৪ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। এই জয়ের জন্য তিতাসের প্রশংসা করলেন অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। তিনি বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম তিন জন স্পিনার খেলাব। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পরিকল্পনা বদল করা হয়। সুযোগ দেওয়া হয় তিতাসকে। ও উইকেটও এনে দিল। প্রত্যেক বোলার খুব ভাল বল করেছে। পরের ম্যাচেও এই ভাবে খেলতে চাইব।”
ম্যাচ শেষে তিতাস ধন্যবাদ জানান ঝুলন গোস্বামীকে। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের উপদেশেই তাঁর বোলিং আরও ধারালো হয়েছে বলে জানালেন তিতাস। তিনি বলেন, “আমার জীবনে খুব বড় ভূমিকা রয়েছে ঝুলনদির। ১৩ বছর বয়সে তাঁর সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয়েছিল। তখন থেকেই আমাকে সাহায্য করেন তিনি। এখন ঝুলনদি বাংলা দলের সঙ্গে রয়েছে। ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ় খেলা শেষ হলে আমিও যোগ দেব সেখানে। ঝুলনদির সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাটা দারুণ। আমাকে বলেছিল, বাকি সব ভুলে বলের গতি বৃদ্ধি করতে। পেসারদের জোরে বল করতেই হবে। এটা আমার মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছিল ঝুলনদি। সেটাই আমার বোলিং বদলে দিয়েছে বলে মনে হয়।”