দ্বিশতরানের পরে উল্লাস যশস্বী জয়সওয়ালের। ছবি: পিটিআই।
চতুর্থ দিন তিনি খেলতে পারবেন কি না সেই সংশয় ছিল অনেকের মনে। তিনি শুধু নামলেনই না, দ্বিশতরান করলেন। পিঠের ব্যথা নিয়েও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রাজকোটে দ্বিশতরান করেছেন যশস্বী জয়সওয়াল। কী ভাবে এই কীর্তি করলেন তিনি? ম্যাচে জিতে দুই সতীর্থের কথা বলছেন ভারতীয় ওপেনার।
যশস্বী তাঁর ওপেনিং জুটি রোহিত শর্মা ও রবীন্দ্র জাডেজার নাম করেছেন। প্রথম ইনিংসে শতরান করেছিলেন রোহিত ও জাডেজা। সেই ইনিংস দেখেই দ্বিতীয় ইনিংসে নিজের ইনিংস সাজিয়েছিলেন যশস্বী। তিনি বলেন, “যে ভাবে রোহিত ভাই আর জাড্ডু ভাই প্রথম ইনিংসে খেলেছিল সেটা দেখে শিখেছি। ওরা সেশন ধরে ধরে এগোচ্ছিল। তাড়াহুড়ো করছিল না। আমিও সেটাই করেছি।”
তৃতীয় দিনের শেষ দিকে পিঠের ব্যথায় সমস্যা হচ্ছিল যশস্বীর। তার পরেও উঠে যেতে চাননি তিনি। খেলতে চেয়েছিলেন। বাধ্য হয়ে উঠতে হয়। চতুর্থ দিন তরতাজা হয়ে খেলতে নামেন তিনি। তাতে সুবিধা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ভারতীয় ওপেনার। তিনি বলেন, “তৃতীয় দিনের শেষ দিকে পিঠে ব্যথা করছিল। কিন্তু আমি উঠে যেতে চাইনি। আমি জানতাম যত ক্ষণ খেলব, ওরা চাপে থাকবে। চতুর্থ দিনও নেমে চেষ্টা করেছি শেষ পর্যন্ত খেলতে। বড় রানের ইনিংস গড়তে। সেই চেষ্টাই করেছি। তাতে সফল হয়েছি।”
দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুতে ধরে খেলছিলেন যশস্বী। একটা সময় পরে হাত খোলা শুরু করেন তিনি। চতুর্থ দিন সকালেও একই ছবি দেখা যায়। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেই সেটা করেছেন বলে জানিয়েছেন যশস্বী। ভারতীয় ওপেনার বলেন, “শুরুতে পিচে বোলারেরা সাহায্য পাচ্ছিল। তাই ওদের সম্মান দিচ্ছিলাম। অযথা তাড়াহুড়ো করিনি। হাত জমে যাওয়ার পরে বড় শট খেলেছি। চতুর্থ দিন সকালেও বল ভাল হচ্ছিল। আমার পরিকল্পনা ছিল, আগে হাত জমিয়ে তার পরে বড় শট খেলব। সেটাই করেছি।”