ভারতীয় ক্রিকেটার শুভমন গিল। — ফাইল চিত্র।
প্রথম ম্যাচে হেরেছে ঠিকই। তবে রবিবার মহারণে নামার আগে পড়শি দেশকে মোটেই ছোট করে দেখতে চায় না ভারত। তারা বাকি দেশগুলির মতোই গুরুত্ব দিয়ে দেখবে পাকিস্তানকে। ম্যাচের আগের দিন জানিয়ে দিলেন শুভমন গিল। পাশাপাশি কত রান তুললে ম্যাচ জেতা যাবে, সেটাও বলে রাখলেন।
সাম্প্রতিক কালে এক দিনের ফরম্যাটে পাকিস্তানকে শাসন করেছে ভারত। প্রথম ম্যাচে বাবর আজমেরা হারায় অনেকেই ধরে নিয়েছেন, ভারতের কাজ সহজ। তাই সাংবাদিক বৈঠকে পাকিস্তানকে নিয়ে বিশেষ প্রশ্নও করা হল না। যাবতীয় প্রশ্নই ভারতীয় দলকে নিয়ে।
তবু পাকিস্তানকে নিয়ে শুভমন বলেছেন, “ভারত-পাকিস্তান মানেই বিরাট একটা ম্যাচ। ফাইনাল হলে তো আরও বড়। আমরা ভাল খেলছি। তার মানে পাকিস্তানকে ছোট করে দেখার কোনও কারণ নেই।” এই ম্যাচ নিয়ে কি অত্যধিক মাতামাতি হচ্ছে? বিতর্ক এড়িয়ে শুভমনের জবাব, “আমি জানি না। তবে এই লড়াইয়ের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ খেলা দেখেন। মাতামাতি বেশি হচ্ছে না কম হচ্ছে সেটা আমি কী করে বলব?”
দুবাইয়ের মাঠে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রান তাড়া করতে গিয়ে একটু হলেও সমস্যায় পড়েছিল ভারত। তাই পাকিস্তান ম্যাচে টসে জিতলে হয়তো আগে ব্যাট করতে পারে তারা। ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি প্রসঙ্গে শুভমন বলেছেন, “আসল কাজ হল পরিস্থিতি বোধা। প্রথম ম্যাচে ফিল্ডিং করতে পেরে সুবিধা হয়েছে। পিচ কেমন আচরণ করছে সেটা বুঝতে পেরেছিলাম। ব্যাটার হিসাবে পরিস্থিতি বোঝা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ভবিষ্যতেও আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে চাই। তবে পিচের উপর সবটা নির্ভর করছে। এই উইকেটে ৩০০-৩২৫ রান ভাল স্কোর। গড় রান যা, তার থেকে বেশি তোলারই চেষ্টা করব। মাঝের দিকে ওভারে যারা ভাল খেলবে তারাই জিতবে।”
বাংলাদেশকে হারাতে বড় ভূমিকা নিয়েছে শুভমনের শতরান। ভারতীয় ওপেনার আপ্লুত শতরান করতে পেরে। বলেছেন, “আমার খেলা অন্যতম তৃপ্তিদায়ক ইনিংস। অনেক চাপ ছিল। হেরে গেলে রবিবারের ম্যাচ মরণ-বাঁচন হয়ে দাঁড়াত। মাঝের দিকে আমাদের উপর চাপ ছিল। তবে লক্ষ্য বড় না হওয়ায় সমস্যা হয়নি। আমি চাই প্রতি ম্যাচেই রান করতে চাই।”
সতীর্থ ওপেনার রোহিত শর্মার থেকে তাঁর খেলার ধরন আলাদা। তবে শুভমনের মতে, একে অপরের সঙ্গে বোঝাপড়াই তাঁদের সাফল্যের কারণ। বলেছেন, “পাওয়ার প্লে-তে আমরা বাকিদের থেকে একটু আলাদা খেলি। রোহিত আকাশে বল খেলতে পছন্দ করে। আমি মাটিতে শট খেলি। এই বৈপরীত্যই আমাদের জুটির আসল বৈশিষ্ট্য। আমাদের শক্তি আলাদা। আমাদের সামনে বোলারেরা চায় একটা নির্দিষ্ট জায়গায় বল রাখতে। আমরা আলাদা আলাদা ধরনের শট খেলে ওদের বিভ্রান্ত করে দেওয়ার চেষ্টা করি।”
৫০ ওভারের ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা কমে আসছে। গোটা দুনিয়াজুড়েই খেলা কমে গিয়েছে। কী ভাবে এই ফরম্যাটে সফল হতে হবে সেই রাস্তা দেখিয়েছেন শুভমন। তাঁর মতে, “যে দল বেশি চাপ সামলাতে পারবে তারাই জিতবে। ৫০ ওভারের ফরম্যাট খেলতে নামলে মনে হয় হাতে খুব বেশি সময় নেই। আউট হলে মনে হয়, হাতে কত সময় ছিল। তাই স্কোরবোর্ডে চোখ রেখে সেই অনুযায়ী খেলতে হবে।”