রোহিত শর্মা। — ফাইল চিত্র।
কেপ টাউনে টেস্ট জেতায় ভারতীয় শিবিরে খুশির রেশ। তার মাঝেই আইসিসি-র সমালোচনায় মুখর হলেন রোহিত শর্মা। ভারতের অধিনায়ক সরব হয়েছেন আইসিসি-র দ্বিচারিতা নিয়ে। কেপ টাউনের পিচ নিয়ে ক্ষিপ্ত তিনি। রোহিতের দাবি, ভারতের পিচে বল প্রথম দিন থেকে স্পিন করলে অনেক কথা বলা হয়। কিন্তু অন্য দেশে বল প্রথম দিন থেকে গতির স্বর্গ হয়ে উঠলে তখন কথা ওঠে না কেন? আইসিসি-কে চোখ-কান খোলা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক।
ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকে রোহিত বলেছেন, “এই টেস্টে কী হয়েছে আমরা সবাই দেখেছি। কী ভাবে পিচ আচরণ করেছে তা-ও দেখা গিয়েছে। এ ধরনের পিচে খেলতে আমার কোনও সমস্যা নেই। যত ক্ষণ না ভারতের পিচ নিয়ে কেউ কোনও কথা বলবে। ভারতের পিচ নিয়ে বেশি কথা বলা যাবে না।”
রোহিতের সংযোজন, “দক্ষিণ আফ্রিকায় সবাই টেস্ট খেলতে আসে নিজের ক্ষমতা পরীক্ষা করার জন্য। এখানে খেলা ভয়ঙ্কর, কঠিন এমনই বলা হয়। তা হলে ভারতে গেলেও খেলা কঠিন হতে পারে। দেখুন, আমরা টেস্ট খেলতে গিয়ে শুধু খেলাটা নিয়েই কথা বলি। টেস্ট ফরম্যাট নাকি সবার উপরে, এমন কথাও শোনা যায়। তা হলে সেই কথার পাশে দাঁড়ানোটাও দরকার।”
ভারতের পিচের সমর্থন করতে গিয়ে রোহিত বলেছেন, “যদি টেস্ট খেলতে গেলে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়, তা হলে এগিয়ে এসে সেটাকে সামলানোর দক্ষতা থাকা দরকার। ভারতেও সেটাই করতে হয়। কিন্তু আমি দেখেছি ভারতে প্রথম দিন থেকে বল ঘোরা শুরু করলেই লোকে বলতে শুরু করে, ‘ধুলো ভরা পিচ, ধুলো ভরা পিচ!’ দক্ষিণ আফ্রিকার এ ধরনের পিচেও তো অনেক খেলা হয়। মানুষের চোখে সেটা পড়ে না কেন?”
গত বছর বিশ্বকাপের বেশ কিছু ম্যাচের পিচের মান ভাল হয়নি বলে জানিয়েছিল আইসিসি। এমনকি ফাইনালের পিচের রেটিংও গড়পড়তার নীচে বলে জানিয়েছিল তারা। এ প্রসঙ্গে রোহিত সমালোচনা করেছেন ম্যাচ রেফারিদেরও। তিনি বলেছেন, “যেখানেই আপনারা যান না কেন, নিরপেক্ষ থাকাই উচিত। বিশেষত ম্যাচ রেফারিদের। পিচের রেটিং কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে ম্যাচ রেফারিদের আরও নজর দেওয়া উচিত। এখনও বিশ্বাস হয় না যে বিশ্বকাপ ফাইনালের পিচের রেটিং গড়পড়তার নীচে ছিল। সেই ম্যাচে একজন ব্যাটার শতরান করেছে। তা হলে কী করে সেটা খারাপ পিচ হতে পারে?”
একটু থেমে রোহিতের সংযোজন, “আইসিসি এবং ম্যাচ রেফারিদের আমি বলতে চাই, আপনারা যা দেখছেন তার বিচারে পিচের রেটিং দিন। কোন দেশের পিচে সেটা দেখে রেটিং দেবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি ওঁরা নিজেদের চোখ-কান খোলা রাখবেন এবং খেলার এই দিকটাও যত্ন নিয়ে দেখবেন। সত্যি বলতে, আমার কোনও পিচেই খেলতে সমস্যা নেই। আমরা বরং এই পিচে খেলা নিয়ে গর্ববোধ করি। কিন্তু বাকিদেরও নিরপেক্ষ থাকতে হবে।”