শ্রেয়স আয়ার। —ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চোটের কারণে প্রথম একাদশে সুযোগ পাননি শ্রেয়স আয়ার। তাঁর সেই চোট এখনও সারেনি। ফলে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার খেলার কোনও সম্ভাবনা নেই শ্রেয়সের। স্টেডিয়ামেই এলেন না ভারতীয় ব্যাটার। বিশ্বকাপের আগে যা চিন্তা বাড়াতে পারে অধিনায়ক রোহিত শর্মার।
রবিবার জানা গিয়েছিল যে, শ্রেয়সের পিঠে ব্যথা রয়েছে। সেই কারণে তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। লোকেশ রাহুল সেই জায়গায় সুযোগ পান। মঙ্গলবার ভারতীয় বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে যে, এখনও ব্যথা রয়েছে শ্রেয়সের। সেই কারণে এই ম্যাচেও বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে তাঁকে। দলের সঙ্গে স্টেডিয়ামেও যাননি তিনি। যদিও শ্রেয়স আগের থেকে ভাল আছেন বলে জানিয়েছে বোর্ড।
চোটে চোটে জর্জরিত শ্রেয়স। চোটের জন্য এ বছর আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলতে পারেননি। তাঁর পরিবর্তে কলকাতাকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন নীতীশ রানা। আইপিএল শুরুর আগেই পিঠের চোটের জন্য ভারতীয় দল থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন শ্রেয়স। গত এপ্রিলে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) তাঁকে লন্ডনে পাঠায় অস্ত্রোপচারের জন্য। তার পর থেকে শ্রেয়স ছিলেন বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে। সেখানে তাঁর রিহ্যাব প্রক্রিয়া চলেছে। ধাপে ধাপে ম্যাচ ফিট করে তোলা হয়েছে শ্রেয়সকে। প্রায় ছ’মাস পর ভারতীয় দলে ফিরেছেন এশিয়া কাপে। দু’টি ম্যাচ খেলেই আবার পিঠে ব্যথা।
এর ফলে প্রশ্ন উঠতে পারে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির দেওয়া ফিটনেস রিপোর্ট নিয়েও। এত দিন রিহ্যাব করার পর মাত্র দু’টি ম্যাচ খেলেই কেন পিঠের ব্যথায় কাবু হয়ে পড়লেন শ্রেয়স? তা হলে কি তাঁর চোট ঠিক মতো সারেনি। বিশ্বকাপের জন্য দ্রুত মাঠে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে?
শ্রেয়স খেলতে না পারলেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জিততে অসুবিধা হয়নি ভারতের। লোকেশ রাহুল চোট সারিয়ে দলে ফিরে শতরান করেন। শতরান করেন বিরাট কোহলিও। ৩৫৬ রান তোলে ভারত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২২৮ রান জিতলেন রোহিতেরা।