ইডেনে শেষ এক দিনের ম্যাচ হয়েছিল ২০১৭ সালে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে ৫০ রানে জেতে ভারত। —ফাইল চিত্র
কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় দল। বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ইডেনে খেলতে নামবেন রোহিত শর্মারা। বুধবার শহরে এলেও অনুশীলন করবেন না তাঁরা। দু’টি এক দিনের ম্যাচের মধ্যে মাত্র এক দিনের ফাঁক। তাই বুধবার বিশ্রাম নিতে চাইছেন রোহিতরা। সেই সঙ্গে রাহুল দ্রাবিড়ের জন্মদিন পালনে মাতবে ভারতীয় দল।
বুধবার দুপুরে কলকাতায় আসে ভারতীয় দল। বোর্ডের তরফে জানানো হয় যে, এ দিন কোনও অনুশীলন করবেন না রোহিতরা। ম্যাচের আগে কোনও সাংবাদিক বৈঠকও বুধবার করবেন না তাঁরা। গুয়াহাটি থেকে কলকাতা আসার ছবি পোস্ট করেন যুজবেন্দ্র চহাল, কুলদীপ যাদবরা। প্রথম একাদশে এখন কুল-চা জুটিকে দেখা না গেলেও দলে রয়েছেন তাঁরা। গুয়াহাটিতে ৬৭ রানে শ্রীলঙ্কাকে হারায় ভারত। সেই ম্যাচে চহাল খেললেও কুলদীপ প্রথম একাদশে জায়গা পাননি। ইডেনেও তাঁদের একসঙ্গে দেখার সম্ভাবনা কম।
ইডেনে শেষ এক দিনের ম্যাচ হয়েছিল ২০১৭ সালে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে ৫০ রানে জেতে ভারত। ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি এক দিনের ম্যাচ ইডেন পেয়েছিল। কিন্তু করোনার জন্য সেই ম্যাচ বাতিল হয়ে যায়। ২০২২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচই হয়েছিল ইডেনে। সেটাই ইডেনে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
সেই ম্যাচের পর অনেকটাই বদলে গিয়েছে ইডেন। নতুন এলইডি আলো লাগানো হয়েছে মাঠে। আগে আলো নিভে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছিল ইডেনে। নতুন আলো নিভে গেলেও মুহূর্তের মধ্যে জ্বলে উঠবে। সেই ব্যবস্থা রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে লেজ়ার শোয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে মাঠে। দু’টি ইনিংসের মাঝে সেই শো হবে। ৬-৭ মিনিটের সেই শোয়ের মূল আকর্ষণ প্রয়াত কিংবদন্তি পেলে। ইডেনে ১৯৭৭ সালে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে কসমসের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। পেলের সেই ম্যাচের কিছু ছবি সংগ্রহ করেছে সিএবি। ১২ জানুয়ারি ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের মধ্যে ইনিংসের বিরতিতে এক মিনিটের জন্য পেলের বিভিন্ন মুহূর্ত তুলে ধরা হবে ইডেনের বড় পর্দায়।
গুয়াহাটিতে জিতে কলকাতায় খেলতে এসেছে ভারত। এর ফলে ইডেনে জিতলেই সিরিজ় জয় নিশ্চিত করে ফেলবেন রোহিতরা। সেই ম্যাচের ১৫ হাজার টিকিট ছাড়া হয়েছিল অনলাইন এবং কাউন্টার মিলিয়ে। এখনও কিছু টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। তিন ধরনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৬৫০ টাকার টিকিটের চাহিদা বেশি। ১০০০ টাকা এবং ১৫০০ টাকার টিকিটও রয়েছে। বাংলার ক্রিকেট সংস্থার প্রধান স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ইডেনের লোয়ার টায়ারে নতুন বসার জায়গা হয়েছে। বাকেট সিট বসানো হয়েছে। প্রেস বক্স নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে। ৯০ শতাংশ কাজ হয়ে যাবে। মিডিয়া সেন্টারের কাজ চলছে। এই ম্যাচের আগে ৫০ শতাংশ কাজ হয়ে যাবে। বাকিটা পরে হবে।”