রাহুলের সঙ্গে উচ্ছ্বাস আরশদীপের। ছবি বিসিসিআই
তিরুঅনন্তপুরমে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ়ের প্রথম ম্যাচে বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন আরশদীপ সিংহ। নিজের প্রথম ওভারেই তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন। সেই ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি প্রোটিয়ারা। ম্যাচের পর আরশদীপ জানিয়েছেন, আলাদা করে কোনও পরিকল্পনা ছিল না তাঁর। গ্রিনফিল্ডের সবুজ উইকেটই তাঁর কাজ সহজ করে দেয়। পাশাপাশি, অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়ে বিশ্রামও তাঁকে সাহায্য করেছে।
সাংবাদিক বৈঠকে আরশদীপ বলেন, “শুধু উইকেট পেলে দারুণ লাগে। খুব সহজ পরিকল্পনা ছিল। বল সুইং করছিল। তাই সঠিক জায়গায় বল রাখতে চেয়েছিলাম। সেটাই কাজ করেছে। বলের লাইন ঠিক রেখেই সাফল্য পেয়েছি।” তার আগে বোলিং কোচ পরশ মামরেকে বলেন, “ভাবিনি আজ বল এতটা সুইং করবে। পরিস্থিতির সঙ্গে শুরুতেই মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। দল জানিয়ে দিয়েছিল, আমাকে প্রথমেই তিন ওভার করে ফেলতে হবে। সে ভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করেছিলাম।”
তিনি আরও বলেন, “ম্যাচের আগে উইকেট দেখা আমার স্বভাব নয়। আমি সোজা বোলিং কোচের কাছে গিয়ে পিচের ব্যাপারে জানতে চাই। আজও তোমাকে (মামরে) জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তুমি বললে পিচ কিছুটা ভিজে রয়েছে। জোরে বোলাররা সাহায্য পাবে। টস জেতায় আমাদের কাজটা আরও সহজ হয়ে যায়।”
সতীর্থ জোরে বোলার দীপক চাহারেরও প্রশংসা করেছেন আরশদীপ। বলেছেন, “সব রকম পরিবেশের কথা মাথায় রেখে আমরা অনুশীলন করি। যে কোনও পরিবেশে ভাল বল করাই আমাদের লক্ষ্য। আজ নতুন বল পেয়ে তার সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগাতে চেয়েছি। সেটা করতে পেরেছি বলে খুশি। আসলে, পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াই আমাদের প্রধান কাজ। তার পরে দল যা চাইবে, সেটা দেওয়ার চেষ্টা করি।”
অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়ে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সময় কাটান জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে। সেটাই কি তাঁকে পাল্টে দিল? আরশদীপ বলেছেন, “গত ১০ দিনে তরতাজা এবং আরও শক্তিশালী হয়ে নামতে চেয়েছি। আলাদা করে কোনও অনুশীলন করিনি। মাঠে নেমে ভাল খেলাই ছিল উদ্দেশ্য।”