ডেথ বোলারের সমস্যা কাটিয়ে ফেলতে চাইবেন রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র
বাকি রয়েছে আর তিনটি ম্যাচ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ের পর আর কোনও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার সুযোগ নেই ভারতের কাছে। তেম্বা বাভুমাদের বিরুদ্ধে তাই ডেথ বোলারের সমস্যা কাটিয়ে ফেলতে চাইবেন রোহিত শর্মা। বুধবার থেকে শুরু হতে চলা এই সিরিজ়ই শেষ সুযোগ।
বিশ্বকাপের আগে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে হার্দিক পাণ্ড্য এবং ভুবনেশ্বর কুমারকে। মহম্মদ শামির করোনা হয়েছে। তিনিও এই সিরিজ়ে খেলতে পারবেন না। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও খেলতে পারেননি তিনি। যদিও সেই সিরিজ় জিততে কোনও অসুবিধা হয়নি ভারতের। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চোট সারিয়ে দলে ফিরেছিলেন হর্ষল পটেল এবং যশপ্রীত বুমরা। কিন্তু তাঁদের বোলিং সে ভাবে দাগ কাটতে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিনটি ম্যাচই তাঁদের কাছে শেষ সুযোগ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের রিজার্ভ দলে থাকা দীপক চাহার এই সিরিজে সুযোগ পেতে পারেন। ডেথ ওভারের সমস্যা মেটাতে তাঁকে দেখা হতে পারে। দলে ফিরছেন আরশদীপ সিংহ। বুমরার সঙ্গে ডেথ ওভারে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এই সিরিজ়ে সুযোগ দেওয়া হতে পারে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকেও। অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগে তাঁকেও দেখে নেওয়া হতে পারে।
ব্যাটিং বিভাগে চিন্তা রয়েছে লোকেশ রাহুলকে নিয়ে। এই তিনটি ম্যাচে নিজের ছন্দ খুঁজে না পেলে বিরাট কোহলিকে বিশ্বকাপে ওপেনার হিসাবে খেলানোর সম্ভাবনাও রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মাত্র আটটি বল খেলার সুযোগ পেয়েছেন দীনেশ কার্তিক। যদিও এর মধ্যেই ম্যাচ জিতিয়েছেন ফিনিশার কার্তিক। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে তাঁকে খেলার সুযোগ দিতে চান রোহিতও। দীপক হুডা যদিও চোটের জন্য এই সিরিজ়েও খেলতে পারবেন না। বিশ্বকাপের আগে ছ’টি ম্যাচের একটিতেও খেলার সুযোগ পেলেন না তিনি। শ্রেয়স আয়ারকে দলে নেওয়া হয়েছে। তাঁকে দেখে নেওয়া হতে পারে।
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছেও এই সিরিজ় নিজেদের পরখ করে নেওয়ার। বিশ্বকাপের আগে তাবরেজ শামসিরাও চাইবেন নিজেদের ফাঁকগুলি ঢাকতে। শামসি বলেন, “অস্ট্রেলিয়ার মাঠ অনেক বড়। ওখানে আবহাওয়াও আলাদা। কিন্তু বোলারদের তো উপায় বার করতেই হবে। ভারতের বিরুদ্ধে এই সিরিজ়ে ওদের ব্যাটারদের বল করার সুযোগ পাব আমরা। বিশ্বকাপে সেগুলো কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।” দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি লিগে সব থেকে বেশি দাম পাওয়া ট্রিস্টিয়ান স্টাবসের দিকেও নজর থাকবে এই সিরিজ়ে।