জয়ের সুযোগ কোহলীদের সামনে। ফাইল ছবি
দিনটা শুরু হয়েছিল ব্যাটারদের ব্যর্থতা দিয়ে। শেষ হল বোলারদের দুরন্ত পারফরম্যান্সে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরিয়নের জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করে দিয়েছে ভারত। ৩০৫ রান তাড়া করতে নেমে ৯৪ রানেই দক্ষিণ আফ্রিকার ৪ উইকেট চলে গিয়েছে। ফলে শেষ দিনে জিততে কোহলীদের দরকার ৬ উইকেট।
চতুর্থ দিনে ভারতীয় ব্যাটারদের থেকে প্রথম ইনিংসের মতো পারফরম্যান্স পাওয়া গেল না। বরং অনেক বেশি সপ্রতিভ লেগেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের। দিনের সপ্তম ওভারেই নৈশপ্রহরী শার্দূল ঠাকুরকে ফেরান কাগিসো রাবাডা। আগের ইনিংসে শতরানকারী রাহুলও বুধবার বেশি রান করতে পারেনি। ২৩ রানে ফিরে যান।
মধ্যাহ্নভোজের পর খেলা শুরুর প্রথম বলেই আউট হয়ে গিয়েছিলেন কোহলী। মার্কো জানসেনের বলে ক্যাচ দিলেন উইকেটকিপারের হাতে। ভারত অধিনায়কের অবদান মাত্র ১৮। ২০১৯-এ তিনি সাতটি শতরান করেছিলেন। ২০২০ এবং ২০২০, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই দুই বছরে কোনও শতরান নেই কোহলীর। একের পর এক ম্যাচ যাচ্ছে, কিন্তু তাঁর ব্যাটে তিন অঙ্কের রান আসছেই না।
একই দশা চেতেশ্বর পুজারারও। তাঁরও ব্যাটে রানের খরা কাটছেই না। ধৈর্য দেখিয়ে ক্রিজে পড়েছিলেন পুজারা। কিন্তু লুনগি এনগিডির একটি আপাতনিরীহ বলে গ্লান্স করতে গিয়ে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসলেন। তার কিছুক্ষণ পরেই ফিরলেন রহাণে।
১১১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে একসময় মনে হচ্ছিল যথেষ্ট লক্ষ্যমাত্রা দিতে পারবেন না কোহলীরা। সেটা হল না ঋষভ পন্থের জন্য। শেষ বেলার তিনি আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন। ৬টি চারের সাহায্যে তাঁর ৩৪ রানের ইনিংসের সৌজন্যে ১৫০ পেরিয়ে গেল ভারত। শেষ মেশ অলআউট ১৭৪ রানে। লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়াল ৩০৫ রানের।
সেঞ্চুরিয়নে চতুর্থ ইনিংসে সব থেকে বেশি ২৪৯ রান তাড়া করার নজির রয়েছে। ফলে নামার আগেই দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে কাজটা কঠিন হয়ে পড়েছিল। ভারতীয় বোলারদের সৌজন্যে দিনের শেষে আরও চাপে তারা। দ্বিতীয় ওভারেই এইডেন মার্করামকে ফিরিয়ে দেন মহম্মদ শামি। কিগান পিটারসেন আউট হন সিরাজের বলে। এরপর তৃতীয় উইকেটে ক্রিজ কামড়ে পড়েছিলেন ডিন এলগার এবং রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। কিন্তু যশপ্রীত বুমরার অসাধারণ বলে ফিরলেন ডুসেন। অফ স্টাম্পের বাইরের বল ছাড়তে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেটি অনেকটা বাঁক খেয়ে ডুসেনের অফস্টাম্প নড়িয়ে দেয়।
নৈশপ্রহরী কেশব মহারাজকে নামিয়ে সামাল দিতে চেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু দিনের শেষ ওভারে তাঁকেও দুরন্ত ইয়র্কারে ফিরিয়ে ম্যাচ ভারতের নিয়ন্ত্রণে এনে দিলেন সেই বুমরাই।