—ফাইল চিত্র
এই বছরের মাঝামাঝি ভারতীয় দলে একাধিক সদস্যের করোনা সংক্রমণ বা তাঁদের সংস্পর্শে আসার কারণে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজই শেষ করা সম্ভব হয়নি। একটি টেস্ট বাকি রয়ে গিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় যাতে তেমন পরিস্থিতি তৈরি না হয়, আগে থেকে সাবধানী সে দেশের ক্রিকেট বোর্ড।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছে গিয়েছেন বিরাট কোহলীরা। ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট সিরিজ। ইতিমধ্যেই জৈবদুর্গে ঢুকে পড়েছে ভারত। সেই নিয়ম কিছু দিন আগে শিথিল করলেও ফের কঠিন জৈবদুর্গ তৈরির সিদ্ধান্তই নিল দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ড।
তবে সেই কঠিন নিয়মও আগের থেকে অনেকটাই শিথিল। নতুন নিয়ম অনুযায়ী জৈবদুর্গে থাকার সময় কারও যদি করোনা হয় তা হলে তাঁর সংস্পর্শে আসা কাউকেই নিভৃতবাসে যেতে হবে না। তিনি অনুশীলনও করতে পারবেন। যাঁর করোনা হয়েছে, তাঁকেও জৈবদুর্গ ছেড়ে যেতে হবে না। দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডের চিকিৎসক বলেন, “জৈবদুর্গের মধ্যে যাঁরা রয়েছেন প্রত্যেকেই টিকা নিয়েছেন। কেউ সংক্রমিত হলে তাঁকে নিভৃতবাসে পাঠানো হবে। সংস্পর্শে আসা ক্রিকেটাররা অনুশীলন করতে পারবে, খেলতে পারবে, তবে তাদের নিয়মিত করোনা পরীক্ষা করা হবে।”
অক্টোবরের পর করোনার নিয়ম আরও শিথিল করে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ড। সেই নিয়মকেই আরও কিছুটা কঠিন করল তারা। করোনাভাইরাসের নতুন রূপ ওমিক্রনের জন্যই এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতীয় দল যদিও এর থেকে বেশি কঠিন নিয়মের মধ্যে সময় কাটিয়ে এসেছে অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডে। দুবাইতে আইপিএল এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়ও জৈবদুর্গ ছিল বেশ কঠিন।