লখনউয়ে প্রথম থেকেই দারুণ বোলিং করেছেন ভারতীয়রা। ছবি: বিসিসিআই
নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আবার স্বমহিমায় ভারত। কিউয়িদের একশোরও কম রানে আটকে রাখল তারা। নির্ধারিত ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ৯৯ রান তুলল মিচেল স্যান্টনারের দল। ভারতকে জিততে গেলে করতে হবে ১০০ রান। তা হলেই সিরিজ়ে সমতা ফেরাতে পারবে তারা।
লখনউয়ে প্রথম থেকেই দারুণ বোলিং করেছেন ভারতীয়রা। চতুর্থ ওভারেই ফিন অ্যালেনকে ফিরিয়ে দেন এ দিনই দলে ফেরা যুজবেন্দ্র চহাল। ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি উইকেট পাওয়ার নজির গড়লেন তিনি। টপকে গেলেন ভুবনেশ্বর কুমারকে। এর পর নিউ জ়িল্যান্ডের কোনও ব্যাটারই দাঁড়াতে পারেননি। একের পর এক ব্যাটার এসেছেন এবং সাজঘরে ফিরেছেন। সর্বোচ্চ রান অধিনায়ক স্যান্টনারের। ২৩ বলে ১৯ রান করেছেন তিনি। মার্ক চ্যাপম্যান এবং মাইকেল ব্রেসওয়েল দু’জনেই ১৪ করে রান করেছেন।
ভারতের হয়ে দু’টি উইকেট নিয়েছেন আরশদীপ সিংহ। একটি করে উইকেট হার্দিক পাণ্ড্য, ওয়াশিংটন সুন্দর, চহাল, দীপক হুডা এবং কুলদীপ যাদবের।
রবিবার লখনউয়ে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টসে হারেন হার্দিক পাণ্ড্য। নিউ জ়িল্যান্ডের অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার টসে জিতে আগে ব্যাট করার নেন। টসে হারের পর হার্দিক বলেন, “টসে জিতলে আগে ব্যাট করার কথাই ভাবছিলাম। কিন্তু আগে বল করতেও অসুবিধা নেই।” প্রথম ম্যাচে হেরেও ঘাবড়াচ্ছেন না হার্দিক। বলেছেন, “একটা নতুন দল নিয়ে খেলতে নেমেছি। নিজেদের মধ্যে কথা বলেই ঠিক করেছি, যাই চ্যালেঞ্জ আসুক সেটা আমরা নেব। কঠিন কাজ করার সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে যেতে হবে। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ়ের থেকে ভাল আর কিছু হয় না। প্রথম ম্যাচে হেরেছি। আপাতত বাকি দুটো ম্যাচে জিততেই হবে। তাই এই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে রয়েছি।”
হার্দিকের সংযোজন, “আমরা ভুল করতেই পারি। কিন্তু সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। খেলাটাকে উপভোগ করতে হবে। আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে, উপভোগ করার জন্যেই ক্রিকেট খেলা শুরু করেছি। সেই বার্তা গোটা দলের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছি।”
এক দিনের সিরিজ়ের পর আবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ়েও কুল-চা জুটিকে দেখতে পাওয়া যাবে। চহালকে দলে নেওয়ার কারণ জানাতে গিয়ে হার্দিক বলেছেন, “পিচ দেখে মনে হয়েছে বল ঘুরতে পারে। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কুলচা আবার ফিরে এসেছে। অনেকেই ওদের একসঙ্গে দেখতে চেয়েছিলেন। ওরা উইকেটও নিতে পারে। ওয়াশিংটনও দলে রয়েছে। ফলে দলে তিন স্পিনার রয়েছে যারা দরকারে কাজে লাগতে পারে।”