উমরান ১৫০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বল করতে পারেন। —ফাইল চিত্র
আরশদীপ সিংহ এবং উমেশ যাদব, ভারতের দুই পেসারের বোলিংয়ে কোনও মিল নেই। তাঁদের গতিতে ফারাক যেমন রয়েছে, তেমনই এক জন বাঁহাতি, অন্য জন ডানহাতি। কিন্তু আরশদীপ মনে করেন উমরান দলে আসায় তাঁর সুবিধা হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীরের পেসার এবং পঞ্জাবের পেসারের অভিষেক হয়েছে এক দিনের ক্রিকেটে। নতুন বলে শুরু করেন আরশদীপ। পরে বল করতে আসেন উমরান। বাঁহাতি আরশদীপ বল করেন ১৩০ কিলোমিটার গতিতে। উমরান সেখানে ১৫০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বল করতে পারেন। সিরিজ়ের শেষ ম্যাচে নামার আগে আরশদীপ বলেন, “উমরানের সঙ্গে বল করা একটা দারুণ অভিজ্ঞতা। সাজঘরেও ও সকলকে মাতিয়ে রাখে। বোলিংয়ের দিক থেকে উমরান বল করলে আমার খুব সুবিধা হয়। একজন ব্যাটারকে ১৫৫ কিলোমিটারও খেলতে হচ্ছে আবার আমার ১৩৫ কিলোমিটার গতির বলও খেলতে হচ্ছে। সেটা বেশ মুশকিলে ফেলে দিতে পারে। আশা করব আমাদের এই জুটি অনেক দিন টিকে থাকবে।”
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছেন আরশদীপ। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে খুব বেশি খেলেননি। আরশদীপ বলেন, “আমি প্রথম থেকেই ব্যাটারকে আক্রমণ করতে শুরু করি। টি-টোয়েন্টিতে শেষের দিকে রক্ষণাত্মক বল করি। এক দিনের ক্রিকেট আমার কাছে আলাদা কিছু নয়। যেখানেই সুযোগ পাই ভাল খেলার চেষ্টা করব।”
এশিয়া কাপে আরশদীপ একটি ক্যাচ ফেলার তাঁকে বিদ্রুপ করা হয়। দেশদ্রোহী বলা হয়। সেই প্রসঙ্গে আরশদীপ বলেন, “ভাল করলে মানুষ ভালবাসবে, প্রশংসা করবে। কিন্তু খেলতে না পারলে নিন্দা করার অধিকার সমর্থকদের আছে। ওরা দলকে ভালবাসে, ক্রিকেটকে ভালবাসে। দুটোই আসবে খেলতে গেলে। ভাল লাগে যখন আমার নাম লেখা টিশার্ট পরে মাঠে আসতে দেখি। আমার লক্ষ্য থাকে ভাল খেলার, ফল যাই হোক।”
বৃষ্টির জন্য দ্বিতীয় ম্যাচ বাতিল হয়ে যায়। সেটা নিয়ে ভাবছেন না আরশদীপ। ভারতীয় পেসার বলেন, “পরিবেশ কারও হাতে নেই। সব কিছুর জন্যই আমাদের তৈরি থাকতে হবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে হবে।”