দলে কেন শ্রেয়স? —ফাইল চিত্র
টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হল শ্রেয়স আয়ারের। বৃহস্পতিবার থেকে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া টেস্টে প্রথম একাদশে জায়গা করে নিলেন তিনি। ২০১৯ সালে শেষ প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা শ্রেয়সকে দলে নেওয়ায় বাদ পড়তে হয়েছে হনুমা বিহারীকে। শ্রেয়সকে রাহুল দ্রাবিড়ের প্রিয় পাত্র বলেও শোনা যায়। কেন এত প্রিয় এই ব্যাটার?
সাদা বলের ক্রিকেটে মিডল অর্ডারে বড় ভরসা শ্রেয়স। তবে ২০১৯ সাল অবধি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও যথেষ্ট পোক্ত ছিলেন তিনি। ৫৪টি ম্যাচে ৪৫৯২ রান করেছেন শ্রেয়স। রয়েছে ১২টি শতরান। সর্বোচ্চ অপরাজিত ২০২ রান। গড় ৫২.১৮। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে অভিষেক প্রায় হয়েই যাচ্ছিল শ্রেয়সের। কিন্তু চোট পাওয়া বিরাট কোহলীর বদলে অধিনায়ক অজিঙ্ক রহাণে বেছে নিয়েছিলেন অতিরিক্ত বোলার, সে যাত্রায় মাঠের বাইরেই থাকতে হয়েছিল তাঁকে।
তবে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে যে তিনি নামছেন তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন রহাণে। আইপিএল-এ দিল্লি ক্যাপিটালস দলের সতীর্থকেই কানপুর টেস্টের জন্য বেছে নিয়েছেন তিনি। ২০১৬ সালে এই দিল্লি দলের মেন্টর ছিলেন দ্রাবিড়। মরসুম শেষ হতে হতে প্রথম একাদশ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন শ্রেয়স। ভারত এ দলেও প্রায়ই জায়গা হত না তাঁর।
কিন্তু এক বছরের মধ্যেই দ্রাবিড়ের মন জয় করে নেন শ্রেয়স। ক্রিজে অনেক বেশি সংবেদনশীল হয়ে ওঠেন তিনি। দলের জন্য ক্রিজে থেকে ম্যাচ জেতাতেও শুরু করেন তরুণ ব্যাটার। ভারতীয় দলে শ্রেয়সের অন্তর্ভুক্তি অবশ্যই ভবিষ্যতের মিডল অর্ডার গড়ার ইঙ্গিত।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দ্রুত রান করেছেন শ্রেয়স। স্ট্রাইক রেট ৮১.৫৪। এর ফলেই হনুমার বদলে জায়গা করে নিতে পেরেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে টেস্ট দলে শুভমন গিল, সূর্যকুমার যাদব, শ্রেয়স আয়ারদেরই দেখা যেতে পারে। তার আগে শ্রেয়সকে বড় সুযোগ দিলেন দ্রাবিড়রা। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে শ্রেয়সকে।