অর্ধশতরানের পর শ্রেয়স। ছবি পিটিআই
তিনি যখন নামলেন, তখন দ্বিতীয় ইনিংসে ৪১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে ভারত। দলের ভাল ব্যাটাররা তখন সবাই প্রায় সাজঘরে। তিনি ক্রিজে থাকার সময়েই দেখলেন উল্টো দিকে একের পর এক উইকেটের পতন। বিচলিত হননি। বরং আরও এক বার নিজের জাত চেনালেন শ্রেয়স আয়ার। ক্রিজে পড়ে থেকে ভারতকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দিতে সাহায্য করলেন।
ম্যাচের পর নিজের ধৈর্যের রহস্য ফাঁস করতে গিয়ে শ্রেয়স বলেছেন, “এ ধরনের পরিস্থিতিতে আগেও পড়েছি। তবে ভারতীয় দলের হয়ে নয়, রঞ্জি খেলার সময়। আমার লক্ষ্য ছিল সেশন ধরে ধরে যত বেশি সম্ভব বল খেলা। খুব বেশি দূরের দিকে তাকাতে চাইনি। তখনকার পরিস্থিতি বুঝে খেলছিলাম। রাহুল স্যরই বলে দিয়েছিলেন বেশি বল খেলতে। সেটাই মন দিয়ে পালন করেছি।”
প্রথম ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে অভিষেক টেস্টেই শতরান এবং অর্ধশতরানের নজির গড়েছেন শ্রেয়স। নিজের রেকর্ডের ব্যাপারে জানতেন কি না সে প্রশ্নের উত্তরে বললেন, “হ্যাঁ, জানতাম। সাজঘরে ফেরার পর এক সতীর্থই সেটা বলল। অনেকেই আগে এ কাজ করছে। তবে আমি প্রথম ভারতীয় হিসেবে এ কাজ করে দেখালাম। ভাল লাগছে। তবে ম্যাচ জেতাটাই এখন আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আগেই ঠিক করেছিলাম, ২৫০ রান এই উইকেটে যথেষ্ট। সেটা হওয়ায় এখন আমরা খুশি।”
চতুর্থ টেস্টে কেন ব্যাটিং করতে এত সমস্যা হয়েছে? শ্রেয়সের ব্যাখ্যা, “আজ উইকেটে বল পড়ে বড্ড নীচে নেমে যাচ্ছিল। তাই আমরা এমন একটা স্কোর করতে চাইছিলাম যাতে লড়াই দিতে পারি। সেটা হয়েছে। তবে কালকের লড়াইটা জিততে হবে।”