প্রায় ১৪ মাস পর টেস্ট ক্রিকেটে রানে ফিরলেন কোহলি। ছবি: বিসিসিআই
আমদাবাদের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে ভারত-অস্ট্রেলিয়া চতুর্থ টেস্টে ফলাফলের আশা ক্রমশ কমছে। শনিবার খেলার শেষে ভারতের প্রথম ইনিংসের রান ৩ উইকেটে ২৮৯। টেস্টে দ্বিতীয় শতরান করলেন শুভমন গিল। প্রায় ১৪ মাস পর টেস্টে অর্ধশতরান বিরাট কোহলির ব্যাটেও। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছিল ৪৮০ রানে।
ব্যাটাররা ভুল না করলে আমদাবাদের ২২ গজে তাঁদের আউট করা কঠিনই নয়, প্রায় অসম্ভব। ভারতীয় বোলারদের মতো অস্ট্রেলিয়ার বোলারদেরও উইকেটের জন্য সারা দিন মাথা খুঁড়তে হল। ম্যাচের তৃতীয় দিনে স্টিভ স্মিথদের প্রাপ্তি ৩ উইকেট। অন্য দিকে ভারতের প্রাপ্তি ২৫৩ রান। তবে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল টেস্ট ক্রিকেটে কোহলির রানে ফেরা। সাদা বলের ক্রিকেটে আগেই রানে ফিরেছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। বাকি ছিল লাল বলের ক্রিকেট। আমদাবাদের ২২ গজে তা পেলেন কোহলি। দিনের শেষে তিনি অপরাজিত রইলেন ৫৯ রানে। শুরুতে একটু সাবধানে খেললেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সাবলীল ব্যাটিং করলেন। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৫টি চার।
কোহলির প্রাপ্তি প্রথমে থাকলে দু’নম্বরে থাকবে শুভমনের শতরান। ছন্দে না থাকা লোকেশ রাহুলের পরিবর্ত হিসাবে প্রথম একাদশে এসেছেন তরুণ ওপেনার। ইনদওর টেস্টে রান পাননি। তবে আমদাবাদে খেললেন নিখুঁত ইনিংস। তাঁর ১২৮ রানের ইনিংসে পাওয়া গেল পরিণত টেস্ট ওপেনারের ছাপ। বলের মান বুঝে খেলেছেন। ভাল বলকে যেমন সমীহ করেছেন, তেমন আলগা বলকে বাউন্ডারিতে পাঠাতে ভুল করেননি। অযথা ঝুঁকি নেননি। তাঁর ২৩৫ বলের ইনিংসে রয়েছে ১২টি চার এবং ১টি ছয়।
শনিবার আগ্রাসী মেজাজে শুরু করলেও খারাপ শট খেলে উইকেট ছুড়ে দিলেন রোহিত শর্মা। ভারতীয় দলের অধিনায়ক করলেন ৩৫ রান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সপ্তম ভারতীয় হিসাবে পূর্ণ করলেন ১৭০০০ রান। সহজ উইকেটে বড় রান পেলেন না চেতেশ্বর পুজারাও। তাঁর অবদান ৪২। দিনের শেষে কোহলির সঙ্গে উইকেটে রয়েছেন রবীন্দ্র জাডেজা। বাঁহাতি অলরাউন্ডারের সংগ্রহ ১৬ রান। অস্ট্রেলিয়ার থেকে এখনও ১৯১ রানে পিছিয়ে রয়েছেন রোহিতরা। সে দিক থেকে রবিবার ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার ম্যাথু কুনেম্যান ৪৩ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন। তিনি আউট করেছেন রোহিতকে। ৪৫ রানে ১ উইকেট টড মারফির। নাথান লায়নের সংগ্রহ ৭৫ রানে ১ উইকেট। অর্থাৎ, উইকেট পেলেন সেই স্পিনাররাই।