কামিন্স বলেছেন, তাঁদের হাতেও এমন কিছু স্পিনার রয়েছেন যাঁরা ভারতীয় ব্যাটারদের বিপদে ফেলার জন্যে যথেষ্ট। ফাইল ছবি
ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ় শুরু হতে এখনও পাঁচ দিন বাকি। তার আগে থেকেই রোহিত শর্মাদের হুমকি দিয়ে রাখলেন প্যাট কামিন্স। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক জানিয়েছেন, স্পিন আক্রমণ দিয়ে আর তাঁদের প্যাঁচে ফেলা যাবে না। কারণ তাঁদের হাতেও এমন কিছু স্পিনার রয়েছেন যাঁরা ভারতীয় ব্যাটারদের বিপদে ফেলার জন্যে যথেষ্ট।
প্রধান স্পিনার হিসাবে নেথান লায়ন তো রয়েছেনই। তাঁর সঙ্গে মিচেল সোয়েপসন, অ্যাশটন আগারকেও খেলানো হতে পারে। কামিন্স বলেছেন, “আমাদের দলে অনেক স্পিনার রয়েছে। কেউ অফস্পিন, কেউ লেগস্পিন করে। মিচেল স্টার্ক ফিরলে বাঁ হাতি পেসারের অভাবও মিটে যাবে। আমরা এমন বোলারদেরই দলে নেব যারা বিপক্ষের চারটে উইকেট নিতে পারবে। পেসার বা স্পিনারের মধ্যে কী ভাবে ভাগ করা হবে, সেটা ম্যাচের আগে ঠিক করব।”
ভারতকে আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে কামিন্স বলেন, “আগারের মতো কাউকে দলে পাওয়া দারুণ ব্যাপার। সোয়েপসন বিদেশের মাটিতে আগের দুটো সিরিজ়ে খেলেছে। তাই ওরও অভিজ্ঞতা রয়েছে। গত সফরে খেলেছে টড মারফি। ত ছাড়া ট্রেভিস হেডও স্পিন করতে পারে। সব দিকে ভারসাম্য বজায় রেখে দল তৈরি করতে হবে আমাদের। তবে এ টুকু বলতে পারি, আমাদের হাতে অনেক বিকল্প রয়েছে। কোনও নির্দিষ্ট একজনকে খেলানোর ব্যাপারে ঠিক করিনি।”
তাঁরা কি দুই স্পিনারেই খেলাবেন নাকি সংখ্যাটা আরও বাড়াবেন? কামিন্সের স্পষ্ট উত্তর, “খেলাবই এমনটা বলতে পারছি না। সেটা পরিস্থিতির উপরে নির্ভর করছে। বিশেষত প্রথম টেস্টে। নাগপুরে পৌঁছনোর পরে পিচ দেখে ঠিক করব কত জন স্পিনারকে ম্যাচে খেলতে পারি।”
আপাতত বেঙ্গালুরুতে শিবির চলছে অস্ট্রেলিয়ার। তারা নাগপুরে যাবে সোমবার। সেই যাত্রার আগে কামিন্স মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, শুধু অস্ট্রেলিয়ার স্পিন বোলিং বিভাগ নিয়ে ভাবলে ভুল করবে ভারত। জোরে বোলারদের কথাও মাথায় রাখতে হবে। কামিন্সের মন্তব্য, “স্পিনারদের কথা ভাবতে গিয়ে আমাদের দলের জোরে বোলারদের কথা ভুললে চলবে না। ওরা সব পরিস্থিতিতে ভাল বল করতে পারে। এমনকি, সিডনির যে উইকেটে জোরে বোলাররা সাহায্য পায় না, সেখানেও ওরা ভাল বল করেছে।”