রাহুলের মুখে বিরাট কোহলি বা হার্দিক পাণ্ড্যের নাম নেই। তিনি বেশি করে বললেন রবীন্দ্র জাডেজার কথা। — ফাইল চিত্র
খারাপ ছন্দের কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষ দুটি টেস্ট থেকে বাদ পড়েছিলেন। গিয়েছিল সহ-অধিনায়কত্বের পদও। কিন্তু এক দিনের ফরম্যাটে ফিরতেই চেনা মেজাজে কেএল রাহুল। শুক্রবার প্রথম ম্যাচে তাঁর অপরাজিত ৭৫ রানের সৌজন্যে সিরিজ়ে এগিয়ে গেল ভারত। ম্যাচের পর রাহুলের মুখে বিরাট কোহলি বা হার্দিক পাণ্ড্যের নাম নেই। তিনি বেশি করে বললেন রবীন্দ্র জাডেজার কথা।
রাহুলের মতে, জাডেজার ব্যাট করতে নামার জন্যে উন্মুখ হয়েছিলেন তিনি। কারণ, ডান হাতি ব্যাটারের সঙ্গে এক জন বাঁ হাতি ব্যাটারের কম্বিনেশন দরকার ছিল সেই সময়। রাহুল বলেছেন, “জাডেজার সঙ্গে ব্যাট করে বেশ মজা লেগেছে। যে মুহূর্তে একজন বাঁ হাতি ব্যাটার এল, আমি কয়েকটা আলগা বল পেয়ে গেলাম এবং সেগুলোকে কাজে লাগালাম। বাঁ হাতি ব্যাটার আসাতেই কাজটা সহজ হয়ে গেল। জাড্ডু দারুণ ব্যাট করেছে। ওর রান নেওয়ার ক্ষমতাও খুব দ্রুত। দারুণ ছন্দে রয়েছে এবং ম্যাচে এ ধরনের পরিস্থিতিতে কী করতে হবে, সেটা ও ভালই জানে। ফলে ওর সঙ্গে ব্যাটিং খুবই উপভোগ করেছি।”
কঠিন সময়ে ব্যাট করতে নেমেছিলেন রাহুল। ভারত তখন একের পর এক উইকেট হারিয়েছে। মনে হচ্ছিল কম রানের লক্ষ্যমাত্রাও তাড়া করা সম্ভব হবে না। রাহুলের ব্যাটে সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠে তারা। রাহুল বলেছেন, “শুরুতেই তিনটে উইকেট পড়ে যেতে দেখলাম। সেই সময় স্টার্ক বল দারুণ সুইং করাচ্ছিল। বল ভেতরে ঢুকে আসছিল। এই পরিস্থিতিতে স্টার্ক ভয়ঙ্কর। তাই সাধারণ ক্রিকেটীয় শটের উপরেই ভরসা রেখেছিলাম। রান করার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। কয়েকটা বাউন্ডারি মারার পর স্নায়ু নিয়ন্ত্রণে আসে। শুভমন, হার্দিক এবং জাডেজার সঙ্গে ব্যাট করেছি। প্রত্যেকের সঙ্গেই একটা আলোচনা করেছি, পিচ ঠিকই আছে। আমাদের শুধু নির্দিষ্ট বোলারকে আক্রমণ করতে হবে।”
দলের বোলারদেরও প্রশংসা করেছেন রাহুল। বলেছেন, “শামি দ্বিতীয় স্পেলে এসে দারুণ বোলিং করেছে। মাঝের ওভারগুলোতেও ভাল বোলিং হয়েছে। আমি নিজেও উইকেটকিপিং করে মজা পেয়েছি। বাউন্স থাকলে কিপিং করতে ভালই লাগে।”