আউট হওয়ার পরে সাজঘরে ফিরছেন ক্ষুব্ধ কোহলি। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি তিনি। ছবি: পিটিআই
বিরাট কোহলির আউট ঘিরে শুরু বিতর্ক। দিল্লিতে প্রথম ইনিংসে ৪৪ রানের মাথায় ম্যাথু কুনেম্যানের বলে এলবিডব্লিউ আউট হন বিরাট। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন তিনি। রিভিউতে স্পষ্ট হয়নি তিনি আউট ছিলেন কি না। কিন্তু মাঠের আম্পায়ার আউট দেওয়ায় সেই সিদ্ধান্তই কার্যকর থাকে। এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বিরাট। সাজঘরে ফিরেও রাগ কমছে না তাঁর। তবে কি ভুল সিদ্ধান্ত নিলেন আম্পায়ার?
ঠিক কী নিয়ে বিতর্ক হয়েছে?
কুনেম্যানের বল যখন কোহলির প্যাডে লাগে সেই সময় তাঁর ব্যাটও এক জায়গায় ছিল। ফলে ব্যাট না প্যাড কোথায় বল আগে লেগেছে তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল না। আম্পায়ার যদি মনে করতেন যে ব্যাটে আগে লেগেছে তা হলে আউট হতেন না কোহলি। কিন্তু মাঠের আম্পায়ার নীতিন মেনন মনে করেছেন কোহলির ব্যাটের আগে প্যাডে বল লেগেছে। তাই আউট দিয়েছেন তিনি। তৃতীয় আম্পায়ার নিশ্চিত না হতে পারায় তিনি মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই কার্যকর রেখেছেন।
আম্পায়ার আউট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নিয়েছিলেন বিরাট। অপর প্রান্তে থাকা শ্রীকর ভরতকে ব্যাটও দেখান তিনি। কোহলির মনে হয়েছিল, বল আগে ব্যাটে লেগেছে। তাই আউট হওয়ার পরে মাঠেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন কোহলি। সাজঘরে যাওয়ার পরেও রাগ কমেনি তাঁর। কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের পিছনে দাঁড়িয়ে বার বার আউটের রিভিউ দেখছিলেন। তাঁর ভঙ্গি দেখে বোঝা যাচ্ছিল, আউটের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না।
দিল্লির উইকেটে আউট হওয়ার আগে পর্যন্ত খুব ভাল খেলছিলেন কোহলি। বাকিরা যেখানে সমস্যায় পড়ছিলেন সেখানে কোহলির ব্যাটে ইনিংসে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছিল ভারত। কিন্তু একটি সিদ্ধান্তে সব কিছু বদলে গেল।
কোহলি আউট হওয়ার পরে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ধারাভাষ্যকাররাও। তাঁদের প্রশ্ন, যদি আম্পায়ারের মনে কোনও সন্দেহ থাকে তা হলে আম্পায়ারের উচিত ছিল সরাসরি তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে যাওয়া। সেই রিপ্লে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেত। কিন্তু সেটা করেননি নীতিন। তাই বিতর্ক আরও বাড়ছে।