শামি এবং বুমরার এই জুটি দেখা যায় না বেশ কিছু দিন। —ফাইল চিত্র
যশপ্রীত বুমরার অভাব এখন আর বোধ করছে না ভারতীয় দল। কিছু দিন আগে হার্দিক পাণ্ড্য বলেছিলেন যে, বুমরা না থাকায় চিন্তা নেই তাঁর। বোলিং আক্রমণের উপর ভরসা রয়েছে হার্দিকের। একই সুর মহম্মদ শামির গলায়। বাংলার পেসার বুমরার সঙ্গে জুটি গড়ে একাধিক ম্যাচ জিতিয়েছেন। কিন্তু এখন আর বুমরার অভাব বোধ করেন না। মহম্মদ সিরাজের প্রশংসা করতে গিয়ে বললেন শামি।
দীর্ঘ দিন মাঠের বাইরে বুমরা। তাঁকে ছাড়াই একের পর এক সিরিজ় খেলছে ভারত। বিশ্বকাপের মতো প্রতিযোগিতা খেলতে হয়েছে বুমরাকে বাদ দিয়ে। শামি বলেন, “অনেক দিন হয়ে গিয়েছে বুমরা খেলছে না। আমাদের দুর্ভাগ্য যে ও নেই। কিন্তু আমাদের সাদা এবং লাল বলে বোলিং আক্রমণ দারুণ। একে অপরকে খুব ভাল সাহায্য করি আমরা।”
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ়ে ভারতের দুই প্রধান পেসার শামি এবং সিরাজ। লাল বলেও তাঁরাই আক্রমণ সামলেছেন। শামি বলেন, “সিরাজ বেশ কিছু দিন ধরে খেলছে। ওর আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছে। জুটি গড়ে বল করার সময় পাশের জন কেমন খেলছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চেষ্টা করি লাইন, লেংথ ঠিক রাখতে। খুব বেশি রান দিতে চাই না। ঠিক জায়গায় বল রাখার চেষ্টা করি আমরা। সিনিয়র ক্রিকেটার হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।”
শামি জানিয়েছেন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল বা ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছেন না তিনি। শামি বলেন, “টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল এবং ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ এখনও দেরি আছে। ক্রিকেটার হিসাবে অত দূরের কথা ভাবা সম্ভব নয়। কাল কী হবে তা জানি না। কিন্তু ম্যাচ খেলার ধকল কতটা নেব সেটা বুঝতে হবে। নিজের শক্তি সম্পর্কে জানতে হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কত ম্যাচ খেলব সেটা মাথায় রাখতে হবে। প্রতি ম্যাচ ধরে ভাবাটাই ভাল।”
অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম এক দিনের ম্যাচে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। ১৮৮ রানে অস্ট্রেলিয়ার ১০ উইকেট তুলে নেন শামিরা। সিরাজ এবং তিনি তিনটি করে উইকেট নেন। দু’টি উইকেট নেন রবীন্দ্র জাডেজা। একটি করে উইকেট নেন হার্দিক পাণ্ড্য এবং কুলদীপ যাদব। ব্যাট করতে নেমে লোকেশ রাহুলের ৭৫ রানের দাপটে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত।