প্রথম টেস্টে ইনিংসে হেরে হতাশ কামিন্স, লায়নরা। ফাইল ছবি।
নাগপুর টেস্টে ইনিংসে পরাজয়ের জন্য দলের ব্যর্থতা মেনে নিয়েও ভারতের নিচের দিকের ব্যাটারদের কৃতিত্ব দিলেন অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড। প্যাট কামিন্সদের কোচের বক্তব্য, ভারতের নিচের দিকের ব্যাটিং দারুণ শক্তিশালী। সেটাই তফাৎ গড়ে দিয়েছে।
প্রথম ইনিংসে স্টিভ স্মিথদের ব্যর্থতাকেই হারের জন্য দায়ী করেছেন ম্যাকডোনাল্ড। তাঁর মতে, ১৭৭ রানে ইনিংস শেষ হয়ে গেলে ভাল কিছু প্রত্যাশা করা যায় না। ভারতীয় দলের প্রশংসা করে তিনি বলেছেন, ‘‘ভারতের নিচের দিকের ব্যাটিং দু’দলের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। রবীন্দ্র জাডেজা, অক্ষর পটেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন সকলেরই ব্যাটের হাত বেশ ভাল। ভারতের নিচের দিকের ব্যাটিং সত্যিই বেশ শক্তিশালী। আমরা চ্যালেঞ্জটাই নিতে পারিনি।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘স্বীকার করতে অসুবিধা নেই, ভারতের নিচের দিকের ব্যাটাররা আমাদের দলের নিচের দিকের ব্যাটারদের থেকে অনেক বেশি রান করতে পারে। ওদের তাড়াতাড়ি আউট করার উপায় বের করতে হবে আমাদের।’’
এক বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার কোচ হয়েছেন ম্যাকডোনাল্ড। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর অস্ট্রেলিয়া প্রথম বার এত বড় ব্যবধানে হারল। নাগপুরের হার থেকে শিক্ষা নিয়ে বাতি তিন টেস্টের জন্য নতুন করে পরিকল্পনা করতে চান কামিন্সদের কোচ। তিনি বলেছেন, ‘‘প্রথম টেস্টে আমাদের পারফরম্যান্স হতাশজনক। আমার মতে, দ্রুত সব কিছু পরিবর্তন করতে গেলে সমস্যা হতে পারে। নাটকীয় কোনও পরিবর্তনের পক্ষে আমি নই। এখনও তিনটি টেস্ট বাকি। আমাদের লম্বা পথ যেতে হবে।’’ দলের প্রস্তুতিতে খামতি ছিল বলে মনে করেন না তিনি। ম্যাকডোনাল্ড বলেছেন, ‘‘মনে হয় না প্রস্তুতি বা পরিকল্পনায় ভুল ছিল। এখনও বিশ্বাস করি, সাফল্য পাওয়া সম্ভব। আমাদের দলে বেশ কিছু দুর্দান্ত ক্রিকেটার রয়েছে। কাকে কী ভাবে ব্যবহার করলে সেরা ফল পাওয়া যেতে পারে, সেটা আমাদেরও ভাবতে হবে।’’
ভারতে প্রশংসা করেছেন সফরকারী দলের কোচ। তিনি বলেছেন, ‘‘ভারত আমাদের বেশ চাপের মধ্যে রেখেছিল। প্রথম ইনিংসে আমরা এক দমই ভাল খেলতে পারিনি। ভারতীয় উপমহাদেশের উইকেটে শুরুতেই পিছিয়ে পড়লে ব্যবধান ক্রমশ বেড়েই যায়। আমরা একটু দ্রুতই বেশি পিছিয়ে গিয়েছি। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার পরেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি আমরা।’’