WPL 2023

দুই বাঙালির রেষারেষি! ১৫ উইকেট নেওয়া সাইকাকে হিংসে? মুখ খুললেন বিশ্বকাপের তারকা তিতাস

উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে দিল্লি ক্যাপিটালসে ছিলেন তিতাস। ভারতকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন। কিন্তু মেয়েদের আইপিএলে খেলার সুযোগ পাননি। আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন নিজের অভিজ্ঞতার কথা।

Advertisement

শান্তনু ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৩ ১৬:৫১
Share:

মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে সেরার পুরস্কার পান তিতাস সাধু। —ফাইল চিত্র

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলা এবং ফাইনালে গুরুত্বপূর্ণ দু’টি উইকেট। ফাইনালে ম্যাচের সেরার পুরস্কার পান তিতাস সাধু। যে প্রাপ্তি এক ধাক্কায় বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে পরিচিত করে দিয়েছিল তাঁকে। শুধু বাংলা নয়, গোটা ভারতই চিনে গিয়েছিল তিতাসকে। তরুণ পেসার তখন থেকেই চর্চার কেন্দ্রে। সুযোগ পেয়ে যান মেয়েদের আইপিএলেও। উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে দিল্লি ক্যাপিটালস তাঁকে নিলামে কিনেছিল। কিন্তু প্রথম বারের মেয়েদের আইপিএলে একটিও ম্যাচ খেলা হল না তিতাসের। তা নিয়ে যদিও কোনও আক্ষেপ নেই বাংলার তরুণ পেসারের।

Advertisement

শুক্রবার থেকে শুরু হবে ছেলেদের আইপিএল। তার আগে মেয়েদের আইপিএল জিতে নিয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। লিগ পর্বে যদিও সবার উপরে ছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। সেই দলে ছিলেন তিতাস। আনন্দবাজার অনলাইনকে বাংলার পেসার বললেন, “আমি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাইনি এটা ঠিক। কিন্তু আমি প্রতিটা ম্যাচে ডাগআউট থেকে খুব ভাল ভাবে ম্যাচগুলো দেখেছি। সেখান থেকে আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। সেটা ভবিষ্যতে আমার কাজে লাগবে। পরের বারের আইপিএলে যদি খেলতে পারি তখন নিজেকে প্রমাণ করতে চেষ্টা করব।”

তিতাস সুযোগ না পেলেও গোটা আইপিএলে ধারাবাহিক ভাবে খেলেছেন বাংলার আরেক বোলার সাইকা ইশাক। ১৫টি উইকেট নিয়ে কলকাতার পার্ক সার্কাসের সাইকা তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। একটুও কি হিংসে হচ্ছে না? সেই সম্পর্কে তিতাস বললেন, “সাইকাদি সব সময়ই ভাল বল করত। আমি অনেক দিন ধরেই দেখছি। বাংলার ক্রিকেটার হিসাবে আমি গর্বিত যে, সে এত ভাল খেলেছে।”

Advertisement

প্রথম বার মেয়েদের আইপিএল হল। তিতাসরা প্রথমে বুঝতেই পারেননি কতটা আশা রাখা উচিত। তরুণ পেসার বললেন, “সকলেই প্রথম বার খেলতে নামছিলাম এমন একটা প্রতিযোগিতায়। তাই কেউই জানতাম না যে, কী আশা করব, বা কতটা আশা করব। মুম্বইয়ে গিয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের ক্যাম্পে যোগ দিয়ে বেশ ভাল লাগল। অনেক কিছু শেখার সুযোগ পেয়েছি।” সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের সঙ্গে সাজঘর ভাগ করার অভিজ্ঞতাও কাজে লাগবে বলে মনে করছেন তিতাস। তিনি বললেন, “এটা একটা অভিজ্ঞতা। আমি শুধু ভারতের নয়, গোটা বিশ্বের সিনিয়র ক্রিকেটকে কাছ থেকে দেখেছি। তারা কী ভাবে নিজেদের তৈরি করে, কী ভাবে ম্যাচে পরিকল্পনা করে, এই সব কিছু দেখার সুযোগ হয়েছে মেয়েদের আইপিএল খেলতে গিয়ে। এটা পরবর্তী সময়ে আমাদের সাহায্য করবে।”

তিতাসের মনে হয় আইপিএলে এত সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলে তাঁদের চিন্তাভাবনা করার পদ্ধতিগুলি শিখতে পেরেছেন। সেটা কাজে লাগবে ভবিষ্যতে। তিতাস বললেন, “যে কোনও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অভিজ্ঞতা কম হয়। আইপিএলে যে ক্রিকেটাররা খেলছেন, তাঁদের বিপুল অভিজ্ঞতা। সেই কারণে পরিবেশটাই আলাদা হয়ে যায়। স্কিলের পার্থক্যটাও অনেক। মানসিকতাটাও আলাদা থাকে। সামনে থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের দেখতে পেরেছি। তাঁদের সঙ্গে সময় কাটাতে পেরেছি। শিখতে পেরেছি। এই অভিজ্ঞতাটা সব থেকে ভাল।”

বাড়ি ফিরে ইতিমধ্যেই অনুশীলন শুরু করেছেন তিতাস। তিনি বললেন, “অনুশীলন শুরু করেছি। আপাতত ট্রেনিং করছি এবং এই প্রিমিয়ার লিগে খেলতে গিয়ে যা শিখেছি সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি। পরের বার যে ঘরোয়া মরসুম আসবে তাতে ভাল খেলার চেষ্টা করব। দলের জন্য ভাল খেলার চেষ্টা করব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement